Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা

উত্তরপত্র ছেঁড়ার অভিযোগ মিথ্যা : তদন্ত কমিটি

৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকার একটি কেন্দ্রে উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি।

গত ৯ ফেব্রুয়ারির ভর্তি পরীক্ষায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনের অষ্টম তলায় এক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

সোমবার সেই কমিটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

দুপুরে অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিটি জানিয়েছে উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টির বিস্তারিত জানাবে।

সেই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটা মিঞা। তার দাবি, ওই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, “অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র আমাদের তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করেছে। তারা শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছে। সবমিলিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, পরীক্ষার দিন ওএমআর শিট ছেঁড়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক শিক্ষার্থী তার উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তোলেন। অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছিল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৩ নম্বর কক্ষে।

ওই কক্ষে আরেক শিক্ষার্থী ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করছে সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক অভিযোগকারী শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর (উত্তরপত্র) শিট ছিঁড়ে ফেলেন বলে জানান তিনি। বলেন, পরে পর্যবেক্ষক ভুল বুঝতে পেরে তাকে নতুন ওএমআর শিট দিলেও ততক্ষণে পরীক্ষার সময় প্রায় শেষ। অনেক অনুরোধ করার পরও ভুক্তভোগী পরীক্ষার্দীদের সময় বাড়ানো হয়নি।

অবশ্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই চিকিৎসক নাফিসা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী যে লাইনের সিটে ছিলেন, সেই লাইনে তার ডিউটিই ছিল না। তাই অভিযোগকারীর ওএমআর শিটে তার সাক্ষরও নেই।

তিনি জানান, সেদিন খুবই স্বাভাবিক পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে। ওএমআর শিট ছেঁড়াতো দূরের কথা, কোনও অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটেনি। বরং এ ঘটনায় বিচলিত তিনি।

বলেন, “হলে কোনও ডিভাইস পাওয়া গেলে তা হল সুপার কন্ট্রোল রুমকে জানান। ফলে পুরো ভ্যেনুতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনও ঘটনা সেখানে ঘটেনি।”

তবে তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী ও তার পরিবার।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. মাসুদ রানা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা তো শুরু থেকেই জানতম তদন্ত প্রতিবেদন এরকম হবে। তারাতো শুরু থেকেই এ ধরনের কথা বলে আসছেন, রিপোর্ট যে এমন হবে, সেটাতো জানা কথা।”

তাই আমরা এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছি, বলেন মাসুদ রানা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ওই তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অন্য দুই সদস্য হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত