ভোট চুরি নয়, এবার সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনেছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “অত্যন্ত লজ্জার বিষয় হলো, সরকার এতদিন গোপনে ভোট চুরি করলেও এই নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করেছে প্রকাশ্যে। কে কোন আসন পাবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করেছে, সিট ভাগাভাগি করেছে।”
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উঠে আসে।
দ্বাদশ নির্বাচনে কোন আসনে কে নির্বাচিত হবেন, তাও ঢাকার একটি ‘সর্বোচ্চ টেবিলে’ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে, অভিযোগও করেন মঈন খান।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এই নির্বাচনকে ‘প্রহসনের’ অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বা জাতিসংঘ, প্রত্যেকের স্টেটমেন্ট পড়ুন। সেখানে তারা কী বলেছে? যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ বলেছে এই নির্বাচন কোনোভাবেই ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়নি। এই কথাটিই আমরা জাতীয়তাবাদী দল গত ১৫ মাস ধরে বলে আসছি।”
ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেবার আর এবারের বিবৃতিতে কতটা ফারাক
মঈন খান বলেন, “আওয়ামী লীগের অধীনে কোনও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতে পারবে না। বিশ্ববাসীর কথাতেই বোঝা যাচ্ছে যে আমরা এতদিন যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছি তা সত্য হয়েছে।”
এসময় দলের রাজনৈতিক অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, “বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ, জনগণ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে এটা প্রমাণ করা যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বরং সরকার একদলীয় বাকশালী কায়দায় শাসন করতে চায়।”
নির্বাচনকেন্দ্রীক সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের ২৫০টি ঘটনার প্রমাণসহ একটি বই বের করা হয়েছে জানিয়ে মঈন খান বলেন, “আমাদের কাছে ভিডিও ক্লিপও রয়েছে। এ ধরনের আরেকটি ভলিউম আমরা কিছুদিনের মধ্যে জনগণের সামনে আবার উপস্থাপন করব।”
জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বর্জন করেছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, “সরকারি একটি গৃহপালিত বিরোধী দল রেখেছে। আমরা দেখেছি তারা ১১ টি আসনে জয় পেয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্মমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যরা।