নাগিন নাচ, টাইমড আউটের পর স্নিকো বিতর্ক। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার আগুনে দ্বৈরথের নতুন অধ্যায় যোগ হল সিলেটে।
শ্রীলঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্ডোর বল পুল করেছিলেন সৌম্য সরকার। বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে যাওয়ার পরই আম্পায়ার গাজী সোহেল দেন আউট।
সৌম্য রিভিউ নিলে আল্ট্রা–এজে স্পাইক দেখার পর হাঁটা দিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। তবে আল্ট্রা-এজে স্পাইক দেখানোর পরও টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান জানান, স্পাইক আসার সময় ব্যাট ও বলের মধ্যে স্পষ্ট দূরত্ব রয়েছে। তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন তিনি। প্যাভিলিয়ানে ফিরতে যাওয়া সৌম্য ফিরে আসেন ক্রিজে।
এটা মানতে না পেরে মাঠেই প্রতিবাদ জানায় লঙ্কানরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন লঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ, যিনি একটা সময় ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। সিরিজ কাভার করা লঙ্কান এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সিংহলিজ ভাষায় অভিযোগ জানানোর কথা বললেন তিনি, ‘‘আমরা স্পাইক দেখেছি। এ নিয়ে ম্যাচ রেফারিকে জানাব আমরা।’’ ম্যাচ রেফারি রয়েছেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। তার কাছে অভিযোগ জানানো মানেই আইসিসির কাছে অভিযোগ জানানো।
সংবাদ সম্মেলনে নেওয়াজ বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট, একটা স্পাইক ছিল। আমরা বড় পর্দায় তা দেখেছি। সেখানে কী ঘটেছিল তা বোঝার জন্য আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ রেফারির পর্যন্ত যেতে হতে পারে। পর্দায় যা দেখা গেছে, মন্তব্য করার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। আমি নিশ্চিত, টিভি আম্পায়ারের কাছে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলের পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকবে।’’
এভাবে সৌম্যর বেঁচে যাওয়া কি প্রভাব ফেলেছে ম্যাচে? নাভিদ নেওয়াজের জবাব, ‘‘সে সময় আউটটা হলে কিছুটা সুবিধা তো হতোই।’’ তবে নিজেদের দায়ও দিচ্ছেন তিনি, ‘‘এ ধরনের উইকেটে ২৫-৩০ রান কম করোছি। কুশল মেন্ডিসের রান আউট আর আসালঙ্কার আউটটা প্রভাব ফেলেছে।’’