Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

ব্যাংকের বিকল্প ইন্টারনেট : জানা যাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে  

ব‍্যাংক মালিক-ব‍্যবস্থাপক
মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন।
[publishpress_authors_box]

সারাদেশে আবারও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হলে ব্যাংকের লেনদেনে যাতে তার প্রভাব না পড়ে সেজন্য আগে থেকেই বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে রাখা দরকার বলে মনে করছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। এ বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।   

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবস্থার দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন।

বৈঠক শেষে ব্র্যাক ব্যাংক এমডি সেলিম আর এফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক ইন্টারনেট বিপর্যয়ে ব্যাংকিং খাতের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আলোচনা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় ব্যাংকের কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। ব্যাংকিং খাতের জন্য আলাদা অবকাঠামোর বিষয়টিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিবেচনা করছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ শিগগিরই এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রস্তাব গভর্নরের কাছে জমা দেবে, যাতে পরবর্তীতে ব্যাংকগুলোও অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর ব্যাংক একই লাইনে চালানো ঠিক নয়। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্যাংকের কার্যক্রম যাতে চলতে পারে, সেজন্য ডেডিকেটেড সংযোগ দরকার।”

প্রবাসী আয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ব্র্যাক ব্যাংক এমডি বলেন, ডলারের দরের ওঠানামায় প্রবাসী আয় কমবে না। দেশপ্রেমের কারণে প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে টাকা পাঠাবেন।

কবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিকল্প ব্যবস্থা নেবে—এ প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার সেলিম আর এফ হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে জানাবে।”  

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনসহ সব ধরনের আর্থিক সেবা ব্যাহত হয়। ৫ দিন পর ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় গত ২৪ জুলাই থেকে ব্যাংক শাখা খুলতে শুরু করে। তবে তা ছিল কিছুটা সীমিত পরিসরে।

গত বুধবার থেকে স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয়েছে ব্যাংকে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের উদ্বেগের কথা জানান সরকারি-বেসরকারি প্রায় এক ডজন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা।

বৈঠকে বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সংশ্লিষ্ট চারজন নিহত হয়েছেন। সেতু ভবনে সোনালী ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে গোটা ব্যাংক খাতের সম্পদের বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বৈঠকে সরকারি খাতের সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা, দি সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত