চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
দুইদিন আগে এ আবেদন করা হয়েছে বলে শনিবার সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, “আবেদনে বিদেশ যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছি। তার কারণ তিনি অনেক অসুস্থ, উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশ যেতে চান। বিষয়টি আবেদনে জানানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই আপিল বিভাগে আবেদনটির শুনানি হবে।”
দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে গত ২০ মার্চ জামিন দেয় আপিল বিভাগ। জামিনের শর্ত হিসেবে বিদেশ যেতে হলে আদালতকে জানাতে হবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
প্রায় সাড়ে ৬ মাস কারাভোগ শেষে গত ২৪ মার্চ জামিনে মুক্ত হন আমান উল্লাহ আমান।
কারামুক্তির পর বৃহস্পতিবার হঠাৎ বুকের ব্যথা হলে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে একদিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান।
তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্তভূ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বছরের ৩০ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রেখে রায় দেয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
পরে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন মঞ্জুর করে।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত।
এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দিয়ে দেয়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় দুদক। পরে আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়। শুনানি শেষে গত বছর নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রেখে নতুন করে রায় দেয় হাইকোর্ট।