পহেলগামে হামলার পর সব পাকিস্তানিকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজ্যে রাজ্যে অভিযান চালাতে বললেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পাকিস্তানিদের খুঁজে বের করতে বলেছেন বলে সরকারি একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চলছে।
বুধবার নয়া দিল্লি সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা বাতিল করে সবাইকে সেদেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। ২৭ এপ্রিলের পর পাকিস্তানিদের ভারতীয় ভিসা আর কার্যকর থাকবে না বলে জানানো হয়েছে।
এরপর পাকিস্তানও ভারতের বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করাসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তার প্রতিক্রিয়ায় অমিত শাহর নির্দেশ আসে।
নয়া দিল্লির দাবি, এই হামলায় যে পাকিস্তান জড়িত, তার নির্ভরযোগ্য প্রমাণ তারা পেয়েছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারত পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের পাশাপাশি সিন্ধুর পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাল্টায় পাকিস্তানও দ্বিপক্ষীয় সব চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। সার্ক ভিসায় পাকিস্তানে থাকা সব ভারতীয়দের দেশ ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছে।
দুই পক্ষের উত্তেজনার রেশে কাশ্মীর সীমান্তে শুক্রবার ভোরে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তবে তাতে কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালে পুলাওয়াম হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মীরে পহেলাগামেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটল। কাশ্মীরের পুলাওয়ামায় ওই বছর ভারতের ৪০ জন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হামলার পেছনেও পাকিস্তানের হাত ছিল বলে ভারতের অভিযোগ।
পহেলগামের খুনিদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বৃহস্পতিবার বিহারে এক সমাবেশে বলেন, “আমি বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই, এই ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী এবং তাদের নেপথ্যের পরিচালকদের প্রত্যেককে ভারত খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে।”
এদিকে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।