নতুন খেলোয়াড় দরকার, হাত বাড়াও স্পোর্তিংয়ের দিকে। গত দুই দশকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চলেছে এই পরিকল্পনাতেই। এবার যখন কোচ নিয়ে গলদঘর্ম তারা, কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না-তখনও হাত বাড়ালো সেই স্পোর্তিংয়ের দিকে। তাদের কোচ রুবেন আমোরিমকে দলে আনল ১২.৬ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ দিয়ে।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর ডেভিড ময়েস, রায়ান গিগস, লুইস ফন হাল, হোমে মরিনহো, ওল গানার সোলসকায়ের, মাইকেল ক্যারিক, রালফ রাংকনিক, এরিক টেন হাগদের কোচ করেও একটা প্রিমিয়ার লিগ জিততে পারেনি ম্যানইউ। এবার তারা আস্থা রাখল রোনালদোর বন্ধু আমোরিমের উপর।
জাতীয় দলে আমোরিম এক সময় সতীর্থ ছিলেন রোনালদোর। তিনি ছিলেন ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের দলে। তবে জাতীয় দলে কেবল ১৪টা ম্যাচই খেলেছেন তিনি।
বয়সে রোনালদোর চেয়ে ৯ দিনে বড় আমোরিম। তিনি কি পারবেন ক্লাবের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে?
এ নিয়ে গত ২১ বছরে পর্তুগালের নামি ক্লাব স্পোর্তিংয়ের পেছনে ম্যানইউর খরচ ১৪২.১ মিলিয়ন ইউরো। শুরুটা সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে। তরুণ রোনালদোকে মাত্র ১৯ মিলিয়ন ইউরোয় কিনেছিল ম্যানইউ।
বাকিটা ইতিহাস। ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ম্যানইউর তিনটা প্রিমিয়ার লিগ জয়ে নায়ক ছিলেন রোনালদো। ২০০৭-০৮ মৌসুমে তাদের জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগও। এরপর ম্যানইউ ছেড়ে রোনালদো যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে।
রোনালদোর পর স্পোর্তিং থেকে মার্কাস রোহোকে ২০ মিলিয়ন ইউরো, নানিকে ২৫.৫ মিলিয়ন ইউরো আর ব্রনো ফের্নান্দেসকে কিনেছে ৬৫ মিলিয়ন ইউরোয়। ফের্নান্দেস এখন ম্যানইউর অধিনায়ক। আর আমোরিম তাদের কোচ। এই দুজনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঐতিহ্যবাহি ক্লাবটির।