Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

ভারতের ভিসা পেয়েছেন আনার কন্যা ডরিন

বাবা আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বাবা আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
[publishpress_authors_box]

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ভারতের ভিসা পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, “এমপি সাহেবের মেয়ে ডরিন ও আমি একসঙ্গে ভারতীয় ভিসা পেয়েছি। ডিবির তদন্ত টিম নেপাল থেকে দেশে আসার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতায় যাব।”

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গত ২২ মে জানায়, ঝিনাইদহের এমপি আনার ১২ মে ভারত যাওয়ার পরদিন কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন্সের এক ফ্ল্যাটে খুন হন। তার মেয়ে ডরিন সেদিনই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণ মামলা করেন। ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার আবেদনও করেন ডরিন।

আনারের লাশের সন্ধান পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দারা। গত ২৮ মে সঞ্জিবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংসের টুকরা উদ্ধার করা হয়। সেগুলো আনারের দেহের অংশ কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার রক্তের সম্পর্কের স্বজনদের প্রয়োজন। সে জন্যই তার মেয়ে ডরিন, তার বড় ভাই আবেদ আলীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তদন্ত দল।

আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতা ঘুরে আসার পর গত ১ জুন নেপাল যান ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। হত্যাকাণ্ডে সিয়াম নামের এক যুবক নেপালে আটক হয়েছেন বলে খবর প্রকাশের মধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদসহ তদন্তের প্রয়োজনে তার এই যাত্রা বলে ডিবি কর্মকর্তারা জানান। ডিবির এই দলের দেশে ফেরার কথা ৪ জুন।

এমপি আনার খুন হওয়ার খবর পাওয়ার দিন ২২ মে তার মেয়ে ডরিন ও পিএস রউফ ভিসার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেছিলেন। রউফ জানান, গতকাল সোমবার বিকালে তিনি ও ডরিন ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে ভিসা সংগ্রহ করেছেন। ভিসার জন্য ১ জুন ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা আসেন তারা।

আব্দুর রউফ জানান, এমপি আনারের বড় ভাই আবেদ আলী তাদের সঙ্গে কলকাতা যাবেন। আগে থেকেই তার ভারতের ভিসা রয়েছে। তাদের সঙ্গে যাবেন বলে তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত