Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাসেল-নারিনও জেতাতে পারেননি কুমিল্লাকে

সুনিল নারিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও হেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ছবি: ফেইসবুক
সুনিল নারিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও হেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ছবি: ফেইসবুক
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারও আছে শিরোপার লড়াইয়ে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলেই নিশ্চিত হতো প্লে-অফ পর্ব। আন্দ্রে রাসেল ও সুনিল নারিন যোগ হওয়ায় জয়ের পাল্লা কুমিল্লার দিকেই হেলে ছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেল অন্য চিত্র। শক্তিশালী একাদশ নামিয়েও সিলেটের কাছে হেরে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চমক দেখিয়েছে সিলেট। প্লে অফ দৌড় থেকে আগেই ছিটকে পড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটি হতাশ করেছে কুমিল্লাকে। বেনি হাওয়েলের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে সিলেট। সেই রান তাড়া করতে নেমে লিটন দাসের ৮৫ রানের ইনিংসের পরও ১২ রানে হেরেছে কুমিল্লা। ফলে প্লে অফের অপেক্ষা বেড়েছে তাদের।

কুমিল্লার যোগ দেওয়ার পর সোমবারই প্রথম মাঠে নেমেছিলেন নারিন ও রাসেল। নারিনের শুরুটা হয়েছে দারুণ। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আছে একটি মেডেনও। ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি তার।

তবে রাসেলের বল-ব্যাট কিছুই হাসেনি। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়েও উইকেটশূন্য। ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে অপরাজিত ২৩ রান হয়তো মন্দ নয়। তবে তার কাছ থেকে দলের যে প্রত্যাশা, প্রয়োজনের সময় সেটি পূরণ হয়নি। ৬ বলে ২০-২৫ রানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার সামর্থ্য রাসেলের আছে। অনেকবারই তিনি সেটি করে দেখিয়েছেন। তবে সিলেটের বিপক্ষে বল-ব্যাটে ‘কানেক্ট’ করতে পারেননি।

যে কারণে লিটন ৮৫ রানের ইনিংস খেলারও পরও জিততে পারেনি কুমিল্লা। ৫৮ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন কুমিল্লা অধিনায়ক। কিন্তু তার সতীর্থদের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। মঈন আলী যেমন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তাওহিদ হৃদয় করেছেন ১৭ রান, ইমরুল কায়েস আউট ৩ রানে।

বোলিংয়েই বাজিমাত করেছে সিলেট। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের সামনে সামিত প্যাটেল ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামও ছিলেন দুর্দান্ত, ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় তারও শিকার ১ উইকেট। তবে উইকেটসংখ্যায় সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসার ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট।

টানা পাঁচ জয়ের পর হারের মুখ দেখল কুমিল্লা। তাও সেই ম্যাচে এসে যেখানে সুযোগ ছিল প্লে অফ নিশ্চিতের। অন্যদিকে বিপিএলের শেষ দিকে এসে চমক দেখাল সিলেট।

ব্যাট-বলে স্মরণীয় এক দিন কাটিয়েছে তারা। কেনার লুইসের ২৫ বলে খেলা ৩৩ রানের ইনিংসে ভালো শুরু পায় সিলেট। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২৮ রান। তবে সিলেটের বড় স্কোর পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হাওয়েলের। ছয় নম্বরে নেমে তিনি খেলেন ৩১ বলে ৬২ রানের ইনিংস। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসেই হাওয়েল জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত