টেনিসের ‘বিগ ফোর’-এর আরেকটি ফুল ঝরে পড়ল। টেনিস কোর্ট থেকে বিদায় নিলেন অ্যান্ডি মারে। অবশ্য ঘোষণা তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। প্যারিস অলিম্পিকে নামার আগে জানিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট খেলতে নামছেন তিনি। মারের সেই পথ শেষ হয়ে গেল অলিম্পিকের ডাবলস থেকে বিদায় নেওয়ার মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিটস ও টম পলের বিপক্ষে হেরেছেন গ্রেট ব্রিটেনের মারে ও ডান ইভান্স। ৬-২ ও ৬-৪ গেমে হেরে যাওয়ার সঙ্গে টেনিস ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটেছে ৩৭ বছর বয়সী মারের। অলিম্পিকে আরেকটি সোনা জিতে বিদায় নিতে চাইলেও হলো না।
ছেলেদের একক ইভেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। এই ইভেন্ট থেকেই ২০১২ সালে লন্ডন ও ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে টানা দুটি সোনা জিতেছিলেন মারে।
ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন মারে। পদক জিতে ক্যারিয়ার শেষ করতে না পারলেও কোনও আফসোস নেই তার। বরং বিদায়বেলায় তিনি গর্বিত, “আমার এই ক্যারিয়ারের পথচলা, অর্জন ও এই খেলায় যতটুকু অবদান রাখতে পেরেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। অবশ্যই এটা আবেগের। কারণ শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ ছিল আমার। তবে যেভাবে শেষ হলো, আমি ভীষণ খুশি।”
কেন খুশি, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মারে, “কারণ নিজের ইচ্ছানুযায়ী শেষ করতে পেরেছি। খুবই ভালো লাগছে চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি। গত কয়েক বছর (চোটের কারণে) খেলা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না আমার। তবে এবার (অলিম্পিকে) নিজের মতো খেলতে পেরেছি।”
রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে মারেকে নিয়ে ডাকা হতো টেনিসের ‘বিগ ফোর’। ফেদেরারের পর আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন মারে। নাদাল আর কোর্টে ফিরবেন কিনা, নিশ্চিত নয়। অর্থাৎ, ‘বিগ ফোর’-এ জোকোভিচই কেবল টিকে থাকলেন।