Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

তারা স্বেচ্ছায় এসেছিল, স্বেচ্ছায় চলে গেছে : আইনমন্ত্রী

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাড়া পান শিক্ষার্থী আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাড়া পান শিক্ষার্থী আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক।
[publishpress_authors_box]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ওই ছয় শিক্ষার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু হয়নি।

ওই শিক্ষার্থীদের ছাড়া পাওয়ার খবর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজেই সাংবাদিকদের দেন তিনি।

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আনিসুল হক ৬ সমন্বয়কের বিষয়টি তুলে বলেন, “তারা (৬ সমন্বয়ক) নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল। সে ব্যাপারে জিডিও করা আছে।

“ফলে আজ যখন তারা বলছে তাদের নিরাপত্তার আর প্রয়োজন নেই এবং তারা যখন চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তখন আমরা তাদের কোনও বাধা দিইনি। তারা চলে গেছে। সেটিও আপনাদের জানানো প্রয়োজন।”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার পর গত শুক্র, শনি ও রবিবার এই প্ল্যাটফর্মের ছয়জন সমন্বয়ককে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের রাখা হয় মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে।

তারা হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তাদের ধরে নেওয়ার পর তাদের নিরাপত্তা বিধানকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তাদের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্ত করতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন দুই আইনজীবী। গত সোমবার তার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারক উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না। যাকে খুশি তাকে ধরে নিয়ে খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন। ছবি তুলে আবার সেটি প্রচার করেন।”

ডিবি অফিসে আন্দোলনের এই সমন্বয়কের পুলিশ কর্মকর্তা হারুনের সঙ্গে খাওয়ার ভিডিও ও ছবি প্রকাশ নিয়ে হাইকোর্টের এই বক্তব্য এসেছিল। এর দুদিন পর বুধবার হারুনকে ডিবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, “ছয় সমন্বয়কের নিরাপত্তার জন্য তাদের ডিবিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি মামলা করা হয়েছিল। হাইকোর্ট ডিভিশনে এই মামলাটি চলাকালে আমি গতকাল শুনেছি, একজন বিচারপতি অসুস্থ হিসেবে ছুটি নিয়েছেন।

“আমি গতকাল পর্যন্ত জানতাম, তিনি অসুস্থ হিসেবে একদিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন। আমি গত রাতে জানতে পারি তিনি আজও ছুটিতে আছেন। ফলে হাইকোর্ট ডিভিশনে যে মামলাটি আজকে শুনানি হওয়ার কথা ছিল, সেটি আজকেও শুনানি হবে না।”

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পর গণগ্রেপ্তার চলার অভিযোগ নিয়ে আনিসুল হক বলেন, “আমি বলেছি, যারা জড়িত না, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী, যারা মাইনর, তাদের যেন জামিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

“যারা অপরাধ করবে, তারা আইনের আওতায় আসবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত