ঢাকার খিলগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে এবং এই মামলাসহ উত্তরা পশ্চিম থানার আরেকটি হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার সকালে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে দুটি হত্যা মামলা সাবেক আইজিপি মামুনকে এবং একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।
আদালতের মহানগর প্রসিকিউশনের পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট খিলগাঁও থানাধীন এলাকায় হাফেজ জোবায়ের নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়। অন্যদিকে গত ১৯ জুলাই মাদ্রাসা ছাত্র সাদিকুল ইসলাম হত্যার অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় মামলায় ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
২৪ আগস্ট রিমান্ড শেষে আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে নিউমার্কেট থানার দুটি মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে ওইদিন আদালত দুই মামলায় ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর আদালত ঢাকার কোতোয়ালি থানার বৈদেশিক মুদ্রা আইনের মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
অন্যদিকে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ডিবি পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।