বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে ফের তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার থেকে তিনদিনের জন্য সাধারণ ছুটি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ শুরুর আগেই মন্ত্রণালয়ের এ ঘোষণা এল।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নানা কর্মসূচি শুরু হয় গত জুন মাস থেকে। এরপর ধীরে ধীরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আন্দোলন জোরদার হয় মূলত ১৬ জুলাই থেকে।
সংঘাত-সহিংসতা বন্ধ না হওয়ায় ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনীও। এরপর ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর কয়েক দফায় কারফিউ শিথিল হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় গত ৩০ জুলাই।
কিন্তু পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় আবারও তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
সেই সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে কারফিউ বলবৎ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সাধারণ ছুটি চলাকালে বন্ধ থাকবে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালতের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে কোনও জরুরি বিষয়ে প্রয়োজন হলে প্রধান বিচারপতি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।