ছাত্রদল নেতা হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আরেকটি মামলা হয়েছে।
রবিবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় জোসনা বেগম নামে এক নারী এই মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা।
জোসনা বেগম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরামের মা। গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় আকরাম নিহত হন।
মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ১০৮ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে; যাদের প্রায় সবাই চট্টগ্রামের শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়া রয়েছেন ১৬ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই মুরাদপুর মোড়ে আন্দোলন চলাকালে আসামিদের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সারাদেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রসস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংস চালায়।
ওইদিন বিকেল ৪টায় ওয়াসিম আকরাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং আসামিদের নির্দেশেই সেখানে তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এক পর্যায়ে আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিম বুকে ও নাভিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র তানভীর ছিদ্দিকীকে হত্যার অভিযোগ এনে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে মামলা করেন নিহত তানভীরের চাচা মোহাম্মদ পারভেজ। ১৮ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে কলেজ ছাত্র তানভীর ছিদ্দিকী নিহত হন।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা হতে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে গুম, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগও।
চট্টগ্রামে ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রেজাউল করিম চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহিউদ্দিন বাচ্চু, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস ছবুর লিটনসহ অন্যরা। বাকি আসামিরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী।