Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা।
[publishpress_authors_box]

ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের সরকারি অভিযানে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১০ ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবর মামলাটি দায়ের করেন উল্লেখিত সময়ে নিহত শহীদ মো. মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহ। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন আর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন আর রাশিদকে আসামি করা হয়েছে।

পাশাপাশি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।

এ নিয়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হলো।

এর আগে বুধবার গণহত্যার অভিযোগে মামলা করেন বাগেরহাট সদরের বড় বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের বুলবুল কবির নামে এক ব্যক্তি। তার ছেলে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়াম গত ৫ আগস্ট ঢাকার সাভারে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে দুদিন পর মারা যান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই দুই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং ২০১৫ সালে এক ব্যক্তিকে গুম করার অভিযোগে ঢাকার আদালতে আরও তিনটি মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার হওয়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুসারে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় ঘটনার সময় গত ২০ জুলাই শনিবার বিকাল ৫টা এবং স্থান সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি ডাচ বাংলা ব্যাংক মার্কেটের পেছনের কথা বলা হয়েছে।

অপরাধের ধরন সম্পর্কে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে ১ থেকে ৯ নং আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের দিকে। এ ঘটনায় মেহেদী শহীদ হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের কর্মসুচি পালন করে। তাদের এই কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রদের নির্মুল করতে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেন আসামিরা। পরে তাদের নির্দেশে নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গণহত্যা ও নির্যাতন করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন, যার তথ্য প্রমাণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

সর্বশেষ এই মামলার বিষয়টি বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেন তদন্ত সংস্থার উপ পরিচালক (প্রশাসন) মো. আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, “আজকে আমরা আরেকটি মামলা রিসিভ করেছি। গতকালেরটা সঙ্গে আজকের মামলাটিরও তদন্তের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত