সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার চান্দগাঁও থানায় এই মামলা করেন নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সেলিম। তার ছেলে মো. ফজলে রাব্বীকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ৪ আগস্টে বহদ্দারহাট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রাব্বীকে হত্যা করা হয়। তবে, ওইদিন ওই এলাকায় রাব্বী নামে কারও মৃত্যুর তথ্য পুলিশের কাছে নেই।
রাব্বী হত্যা মামলার মোট আসামি ৩৭০ জন। যেখানে নাম রয়েছে সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কয়েকটি আসনের সদ্য সাবেক এমপি এবং সিটি করপোরেশনের প্রায় সব কাউন্সিলরের।
এনিয়ে চট্টগ্রামে শেখ হাসিনাসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের নামে তিনটি হত্যা মামলা হলো।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, নগরীর চান্দগাঁও থানার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ চলছিল ৪ আগস্ট বিকালে। বাদীর ছেলে ফজলে রাব্বি সেই সমাবেশে যোগ দিতে বহদ্দারহাট মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসী সমাবেশে হামলা করে বহদ্দারহাট মোড় থেকে চান্দগাঁও থানার মোড় পর্যন্ত এলাকায় বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করে। আসামিদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ফজলে রাব্বী পেটে ও বাম কানে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে নগরীর ও আর নিজাম রোডে রয়েল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সেলিম বলেন, “আমিতো সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সেদিন যারা উপস্থিত ছিল তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে। আমার ছেলে ভোলায় একটি স্কুলে পড়ালেখা করত।”
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, “গত ৪ আগস্ট বহদ্দারহাটের সংঘর্ষে ফজলে রাব্বী নামে কোনও শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি আমি প্রথম শুনলাম। তবে তার মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৭০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।”