আপাতত সাধারণ আনসার হিসেবে নতুন কোনও নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকার। সেই সঙ্গে ৩ বছর চাকরিকালের পর সাধারণ আনসারদের যে বিশ্রাম দেওয়া হয়, তা না দিয়ে চাকরি অব্যাহত রাখার বিষয়টি পরীক্ষা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাধারণ আনসারদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জেনেছেন। তাদের দাবি-দাওয়াগুলো গভীর মনোযোগ ও সহানুভূতির সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে সরকার।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা দাবি নিয়ে মাঠে নামে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এসময় নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে পথে নামে আনসার বাহিনী। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আনসার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শাহবাগ এবং বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
তারপরই জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কিছু দাবি যৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সাধারণ আনসারদের ৩ বছর চাকরিকালের পর যে বিশ্রাম দেওয়া হয়, তার বদলে চাকরি অব্যাহত রাখার বিষয়টি পরীক্ষা করা হবে। আপাতত সাধারণ আনসার হিসেবে নতুন কোনও নিয়োগ দেওয়া হবে না।
দাবি পূরণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাধারণ আনসারদের প্রতিনিধিসহ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গঠন করা কমিটি সাধারণ আনসার সদস্যদের সব দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করে যৌক্তিক সুপারিশ প্রণয়ন করে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সরকারকে দিবে।
সেই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি সুপারিশ পরীক্ষা করে বাস্তবায়নের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়ার জন্য সরকারকে প্রতিবেদন দিবে।
এর মাধ্যমে সাধারণ আনসারদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তাই সাধারণ আনসার সদস্যদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তাছাড়া মুষ্টিমেয় কয়েকজন উস্কানিদাতা এই সুশৃঙ্খল বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।