সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না গত পাঁচ দিন ধরে। চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে শঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
আনোয়ারুল আজীম আনারের সন্ধান পেতে রবিবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
এর আগে ডরিন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। সব উপায়ে বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমার পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাবে।”
সংসদ সদস্য আনারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ রবিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ মে দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৬ মে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে একটি মিস কল আসে।
১৪ মের পর পাঁচ দিন পার হলেও তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
আনার কলকাতার নিউটাউন এলাকায় গোপাল নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন তিনি বাইরে থেকে আসছি বলে বন্ধুর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ১৫ মে বন্ধু গোপালের কাছে তিনি ম্যাসেজ পাঠান, জরুরি কাজে দিল্লি এসেছেন, চিন্তার কারণ নেই।
আব্দুর রউফ আরও জানান, ১৬ মে সকালে তার মোবাইলে এমপি আনারের বাংলাদেশের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে একটি মিস কল আসে। তারপর থেকে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তিনি জেনেছেন, যখন মিস কলটি আসে তখন এমপির অবস্থান ছিল বেনাপোল এলাকায়।
এরপর এমপির ভাতিজা মেহনাজ হোসেন সাইমন গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বড়ানগর থানায় গিয়ে একটি ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন বলে জানান আব্দুর রউফ।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে আনোয়ারুল আজীমের পরিবারের সদস্যরা।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু জানিয়েছেন, বিষয়টি দল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
লোকমুখে নিখোঁজের খবর শুনলেও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি বলেন বলে জানান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজীফ।
