সাতাশ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। সেখান থেকে আসে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশের মতো।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পরবর্তী সময়ে ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, যার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে।
এই বাজারে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকেই নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পোশাক রপ্তানি ১১ দশিমিক ৩৮ শতাংশ কমে যায়। কেবল জুলাইতে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে।
সেই নেতিবাচক ধারা ছিল চলতি বছরের সেপ্টম্বর পর্যন্ত।
যদিও আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, যা ভাঁজ ফেলেছিল রপ্তানিকারকদের কপালে।
তবে অক্টোবরের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হাসি ফুটিয়েছে রপ্তানিকারকদের মুখে। পাশাপাশি পোশাকের দাম কমার পরও নেতিবাচক (নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধি ফিরেছে ইতিবাচক (পজিটিভ) ধারায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অফিসের (ইউরোস্ট্যাট) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মোট ১৭৫ কোটি (১.৭৫ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। এই অঙ্ক গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। এর আগে কখনই এক মাসে এই বাজারে এতো বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি করে ১৩০ কোটি (১.৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিলেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা।
আর অক্টোবরের এই রেকর্ড প্রবৃদ্ধির কারণে চলতি বছরে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) ইউরোপের বাজারে ১ হাজার ৬৫২ কোটি ২৬ লাখ (১৬.৫২ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকরকরা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে এই বাজারে ১ হাজার ৬২৮ কোটি ৯৫ লাখ (১৬.২৯ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
অথচ ৯ মাসের হিসাবে অর্থাৎ জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছিল ২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।
ওই নয় মাসে ইউরোপের বাজারে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৬ লাখ (১৪.৯০ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট- আট মাসে ইইউতে বাংলাদেশ ১ হাজার ২৯১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ওই আট মাসে রপ্তানি কমেছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ে ১ হাজার ১১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১ হাজার ১৬৮ কোটি ডলার। হিসাব বলছে, এই সাত মাসে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছিল প্রায় ৫ শতাংশ।
আর ছয় মাসের হিসাবে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন সময়ে কমেছিল ৪ শতাংশের মতো।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমলেও এখন বাড়ছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে এক ধরনের মন্দা দেখা দেওয়ায় ইইউর ক্রেতাদের বায়িং পাওয়ার কমে গিয়েছিল। সে কারণে তারা পোশাকসহ অন্য পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি ভালো হয়েছে; মূল্যস্ফীতি কমেছে। সে কারণে আগের মতোই পণ্য কিনছে তারা। তার প্রভাব পড়েছে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে।”
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) ইইউর কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৩ লাখ (৭৭.৭৭ বিলিয়ন) ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
ইইউতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। চীন সবার শীর্ষে। তৃতীয় তুরস্ক।
চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে চীন ইউরোপের বাজারে ২১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের একই সময়ে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ২১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।
তবে এই বাজারে তুরস্কের রপ্তানি বেশ খানিকটা কমেছে; ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে তুরস্ক ইউরোপে ৮ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৩ সালের এই দশ মাসে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৯ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপে রপ্তানিতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে ভারত ইউরোপের বাজারে ৩ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।
কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই দশ মাসে দেশটি ইউরোপে ৩ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, পাকিস্তানের ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মরক্কোর প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
এর মধ্যে গাজীপুর ও ঢাকার সাভারে শ্রমিক অসন্তোষের বেশ কয়েক দিন অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ থাকে; উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে এখনও স্বাভাবিক হয়নি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান এ খাতের কর্মকাণ্ড।
পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ গত ১৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২০ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে ওই অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরপরও রপ্তানি আয় বাড়ায় আমরা খুশি। তবে জানি না আগামী মাসগুলোতে কী হবে।
“রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ইউরোপের মানুষদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। তারা পোশাকসহ অন্য পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছিল। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমে এসছে। স্বাভাবিক কেনাকাটা করছে।”
হাতেম বলেন, “চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমাদের হিসাবে, জুলাই মাসের মধ্যে এক সপ্তাহেই পোশাক শিল্পে ক্ষতি হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারের উপরে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকায় তো রপ্তানির উপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”
“এই অস্থিরতা-অনিশ্চতা না থাকলে আমাদের রপ্তানি আরও বাড়ত”, বলেন বিকেএমইএ সভাপতি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) এক গবেষণায় বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের ৬৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব। পোশাকের বৈশ্বিক বাজারের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এই পরিসংখ্যান দিয়েছে র্যাপিড।
বর্তমান অবস্থায়ও ইইউতে বাড়তি ১৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

‘দাম কমার পরও প্রবৃদ্ধি ভালো লক্ষণ’
গত বছরের চেয়ে পোশাকের দাম কমার পরও রপ্তানি বাড়াকে ‘ভালো লক্ষণ’ হিসেবে দেখছেন পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালে এসে বেশিরভাগ সাপ্লায়ারের ইউনিট প্রাইস বা পণ্যের মাথাপিছু দর কমে গেছে। পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার চাপ থাকার ফলে এটা হচ্ছে।”
পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, “ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের দাম ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে। সে কারণে পরিমাণের দিক দিয়ে এই বাজারে আমাদের পোশাকের রপ্তানি ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়লেও টাকা বা ডলারের হিসাবে এই দশ মাসে রপ্তানি বেড়েছে কিন্তু ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শুধু বাংলাদেশের নয়, চীনের পোশাকের দামও কমেছে, যা ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
“ইউরোস্ট্যাটের ডেটা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইইউয়ে পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তবে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বদলাচ্ছে। অর্থাৎ কিছু রপ্তানিকারক অন্যদের চেয়ে বাজার ভালোভাবে ধরতে পারলেও, বাংলাদেশসহ অন্যরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।”
সুবর্ণ বছর ২০২২
সামগ্রিকভাবে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সুবর্ণ বছর ছিল ২০২২ সাল। ওই বছরে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়। রপ্তানি হয় ২২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২১ সালের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছিল ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যাণে দেখা যায়, ২০২২ সালে সারাবিশ্ব থেকে ইইউর পোশাক আমদানি বেড়েছিল ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। প্রধানতম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সেখানে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।
২০২২ সালে ইউরোপে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন ৩০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল; প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৭ দশমিক ১ শতাংশ।
তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ তুরস্কের রপ্তানি বেড়েছিল ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ; রপ্তানি করেছিল ১১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক।
এ বিষয়ে ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “২০২২ সালে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ ভালো ছিল। কিন্তু ওই বছরের প্রথম ৬ মাস (জানুয়ারি-জুন) যেভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে, পরবর্তী ৬ মাসে তা অনেকটাই কমে যায়। এর মূল কারণ প্রথম ৬ মাস ছিল কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়। যার ফলে ক্রেতারা বেশি করে তখন পোশাক কিনেছে। এছাড়া চীনে লকডাউন থাকায় তখন আমরা ভালো করেছি।”
পরবর্তী ৬ মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় পোশাকের চাহিদা কমতে শুরু করে। যার প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতেও পড়ে বলে জানান রুবেল।
ইইউ পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের ইউরোপের দেশগুলোর পোশাক আমদানি কমেছিল ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বাংলাদেশের কমেছিল ১৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।



