কিছুদিন আগেই এ আর রহমান আর তার স্ত্রীর মাঝে ঘটে গেল বিচ্ছেদ। তার কয়েক ঘন্টার মাঝেই নিজের ডিভোর্সের ঘোষণা দেন এই অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালকের মিউজিক ট্রুপের বেইজ গিটারিস্ট মোহিনী দে।
আর এতে করে গুজবের পারদ যেন একেবারে আকাশে চড়ে গেল। বাতাসে গুঞ্জন- তবে কি এ আর রহমানের সংসার ভাঙ্গনের সাথে জড়িয়ে গেছে মোহিনীর নাম? কারণ মোহিনী যে এ আর রহমানের সঙ্গেই আজকাল বেইজ গিটার বাজাচ্ছেন, পারফর্ম করছেন একসঙ্গে!
অবশ্য এসব গুঞ্জন একেবারে উড়িয়ে দিলেন এআর রহমানের পুত্র এ আর আমিন।
ইন্সটাগ্রামে নোট শেয়ার দিয়ে তিনি লিখেছেন, “রহমান এবং দে-র বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই।”
শেয়ার করা ওই নোটে এআর আমিন উল্লেখ করেন, “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব যেভাবে ছড়াচ্ছে, এটা দেখাও অত্যন্ত কষ্টদায়ক।” নোটে তিনি মানুষের কাছে এ আর রহমানের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
নোটে তিনি আরও লিখেছেন “আমার বাবা শুধুমাত্র তার অসাধারণ সৃষ্টির জন্যই নয়, বরং তার মূল্যবোধ আর মানুষের কাছ থেকে অর্জিত সম্মান এবং ভালোবাসার জন্যও তিনি একজন কিংবদন্তি। মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক। কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের ঘটনার সত্যতা এবং ব্যক্তির সম্মান গুরুত্বের সঙ্গে মনে রাখা উচিত। ভুল তথ্য প্রচার বা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। আসুন আমরা তার মর্যাদা রক্ষা করি।”
এর আগে এ আর রহমানের সাবেক স্ত্রী সায়রা রহমানের আইনজীবী বন্দনা শাহ জানিয়েছেন, এই দুটি বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। সায়রা এবং রহমান সম্পূর্ণ নিজেদের সিদ্ধান্তে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই দুটি খবরের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই।”
বন্দনা শাহ আরও উল্লেখ করেন, তিনি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে আলোচনা করার কোন অধিকার রাখেন না। তবে তিনি বলেন, “তিনি (রহমান) খুব দায়িত্ববান স্বামী ছিলেন। আর সায়রা ছিলেন ভালো স্ত্রী। দেখুন কী হয়েছে আমি জানি, কিন্তু এসব প্রকাশের কোন অনুমতি আমার নেই।”
তিনি আরও বলেন, “তারা চায় একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে। তা হতে পারে একসঙ্গে অথবা আলাদা।”
মঙ্গলবার প্রাক্তন এই দম্পতি এক বিবৃতিতে তাদের ২৯ বছরের বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের পর, মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী মিস্টার এ আর রহমান একে অপর থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের শীতল সম্পর্ক আজ তাদের এই পথে নিয়ে এসেছে। ফলে একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও, তারা বুঝতে পেরেছেন সম্পর্কের টানাপোড়েনে এমন দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, যা আর কোনভাবেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব না।”
তারা আরও উল্লেখ করেন, “মিসেস সায়রা এবং মিস্টার এ আর রহমান স্পষ্ট করে জানাতে চান যে এই সিদ্ধান্ত নিতে তাদের যথেষ্ট দুঃখ এবং যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে।”
বিবৃতিতে এই দম্পতি সাধারণ মানুষদের অনুরোধ করে লিখেছেন, “এই কঠিন সময়ে তাদের গোপনীয়তা এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন।”