নোয়াখালীর কবিরহাটে টিকটক বানানোর কথা বলে এক কিশোরের মুখে টেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে দীঘিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
নিখোঁজের ১১ দিন পর অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করলে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে একথা জানায় পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন আরাফাত (১৫) উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে। সোমবার দুপুরে কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দীঘি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ।
আটক দুই কিশোর হলেন, উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজিউল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে আরাফাতের মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘিতে ফেলে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আরাফাতকে কিছু ছেলের সঙ্গে চলাফেরা করতে নিষেধ করে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরাফাত তাকে মারধর করে। পরে আমির আরফাতকে হত্যার কৌশল খুঁজতে থাকে।
আরেক বন্ধু আকিলের পরামর্শে আরাফাতকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডেকে নিয়ে যায় আমির। এরপর বঙ্গের দীঘির পাড়ে নিয়ে টিকটক বানানোর কথা বলে তার মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, আরাফাত নিখোঁজের তিনদিন পর তার মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার ১১দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে। এক পর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।