মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তার আরও দুটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)।
মঙ্গলবার দেশটির গণমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্রাউক উ ও ক্যাউকতাও শহরে জান্তার দুটি সদরদপ্তর এখন আরাকান আর্মির দখলে।
রাখাইন রাজ্যভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের সামরিক শাখা হলো আরাকান আর্মি। এদের কার্যক্রম মূলত রাখাইন ও চিন রাজ্যকেন্দ্রীক।
বাহিনীটির দাবি, গত ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরে জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা। এই সময়ের মধ্যে জান্তা বাহিনীর ১৭০টি স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রাখাইন রাজ্যের কাছের পাউকতাও শহরও রয়েছে।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সোমবার কয়েকঘণ্টা গোলাগুলির পর ম্রাউক ইউ শহরের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৩৭৮ এর সদরদপ্তর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয় পাশের এলআইবি ৫৪০ এর সদরদপ্তর। সেইসঙ্গে হামলা জারি রয়েছে এলআইবি ৩৭৭ ঘাঁটিতে।
নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, ৩ দিনে ৬২ সেনা নিহত
এই তিনটি জান্তা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে ম্রাউক ইউ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, ঐতিহাসিক শহরটির রাজধানীতে এবং আবাসিক এলাকা ও গ্রামের সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার অভিযোগ করেছে আরাকান আর্মি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ক্যাউকতাও শহরে জান্তা বাহিনীর এলআইবি ৩৭৬ এর ঘাঁটি দখল করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন রাথেডং, পোনাগিউন, রামরি ও আন শহরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে ইরাবতী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহরের তাং পিও সীমান্ত ফাঁড়িতেও হামলা চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জান্তা বাহিনীর অন্তত ৯০ সদস্য রবি ও সোমবার বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বরাত দিয়ে সেখানে বলা হয়, তারা শতাধিক জান্তা সদস্যের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের কথা জানিয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশে এক নারী ও এক রোহিঙ্গার মৃত্যুর ঘটনার জন্যও জান্তা বাহিনীকে দায়ী করেছে আরাকান আর্মি।