নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল ব্রাজিল। খেলোয়াড়রা এতটাই আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছিলেন যে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বলে বসেন, ‘‘বিদেশের ক্লাবে খেলা ফুটবলারদের বাদ দিয়ে স্থানীয়দের দিয়ে দল গড়তে হবে।’’
প্রেসিডেন্টের এমন সমালোচনা আতে ঘা লাগার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর বিপক্ষে সেটাই ফুটে উঠল ব্রাজিলের খেলায়। পেরুকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল তারা।
জোড়া গোল করেছেন রাফিনিয়া। দুটিই পেনাল্টি থেকে। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও লুইজ হেনরিক।
লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ের অপর ম্যাচে কলম্বিয়া ৪-০ গোলে হারিয়েছে চিলিকে আর প্যারাগুয়ে ২-১ গোলে ভেনেজুয়েলাকে। গোলশূন্য ড্র করেছে উরুগুয়ে ও ইকুয়েডর।
লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় ব্রাজিল এখন চার নম্বরে। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। সমান ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেলেও গোল গড়ে তিন নম্বরে আছে উরুগুয়ে।
এছাড়া ১০ ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ২২, কলম্বিয়ার ১৯, ইকুয়েডরের ১৩, প্যারাগুয়ের ১৩, বলিভিয়ার ১২, ভেনেজুয়েলার ১১, পেরুর ৬, চিলির ৫।
ঘরের মাঠে ১১ মিনিটে ব্রাজিলের জালে বল জড়ালেওে পেরুর গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ২৪ মিনিটে সেলেসাওদের হতাশ করেছে ক্রসবার। রাফিনিয়ার শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল পায় ব্রাজিল।
ইগো জেসুসের চ্যালেঞ্জের মুখে ডি বক্সে পেরুর ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোর হাতে দুইবার বল লাগলে ভিএআরে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল, যা জালে জড়াতে ভুল করেননি রাফিনিয়া।
৪৪ মিনিটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে শট নিয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। তবে ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনিই।
সাভিনিয়োকে ডিফেন্ডার সামব্রানো ফাউল করায় পেনাল্টি পায় তারা। ৬৯তম মিনিটে এক সঙ্গে আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও লুইজ হেনরিককে বদলি হিসেবে নামান ব্রাজিল কোচ দোরিভাল। গোল পেয়েছেন দুজনই।
৭১ মিনিটে হেনরিকের ক্রসে পেরেইরার অ্যাক্রোবেটিক শট জড়ায় জালে। এর তিন মিনিট পর জেসুসের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁকানো শটে ব্যবধান ৪-০ করেন তিনি। আগের ম্যাচেও চিলির বিপক্ষে দারুণ এক গোল করেছিলেন তিনি।