মাঠে নেমেই ইতিহাস গড়েছেন লিওনেল মেসি। কোপার সাতটি আসরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫তম ম্যাচ খেলেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চিলির প্রয়াত গোলরক্ষক সের্হিও লিভিংস্টোন ১৯৪১ থেকে ১৯৫৩ সালে সাত আসর মিলিয়ে খেলেছিলেন ৩৪ ম্যাচ। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ ম্যাচ খেলার কীর্তি ব্রাজিলের জিজিনিওর।
মেসির রেকর্ডের ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে কানাডা কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের। এটা মেনে নিয়ে ধৈর্য ধরার কথা বললেন মেসি, ‘‘জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল আমাদের জন্য। বেশির ভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীই আমাদের চেয়ে আলাদাভাবে খেলে। আমাদের ধৈর্য ধরে রেখে খেলতে হবে।’’
নিজের রেকর্ড নিয়ে মেসি বললেন, ‘‘আমি কখনও রেকর্ডের দিকে মনোযোগ দেই না। এবারের কোপা আমেরিকা উপভোগ করতে চাই আর সেরাটা দিতে চাই নিজের।’’
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি অবশ্য আটলান্টায় ম্যাচের মাঠ নিয়ে অসন্তুষ্টি চেপে রাখেননি, ‘‘আমরা সাত মাস আগেই জানি এখানে খেলব। আর তারা টার্ফ পরিবর্তন করেছে মাত্র দুই দিন আগে। সিনথেটিক টার্ফ অবশ্যই দেখতে সুন্দর। তবে এ ধরনের খেলোয়াড়দের জন্য এমন মাঠ উপযুক্ত নয়।’’
গত কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ভুগেছিল আর্জেন্টিনা। হেরেছিল তাদের কাছে। স্কালোনির মনে পড়ছিল সেই ম্যাচটির কথা, ‘‘ বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের মতোই শুরুটা হয়েছিল আমাদের। ব্যবধান বলতে আমরা তখন ভালো একটা মাঠে খেলেছিলাম।”
ইউরো না কোপা এ নিয়ে বিতর্ক শেষ হওয়ার নয়। তবে ভালো মাঠে না খেললে যে কোপা পিছিয়ে পড়বে স্বীকার করে নিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ‘‘মাঠটা ভালো ছিল না। এটা আমাদের কাজ কঠিন করে তুলেছিল। আমাদের উন্নতি করতে হবে এখানে। নইলে ইউরোর নিচেই থাকবে কোপা।”
হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্তিনেজের গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। দুই ফরোয়ার্ডকে সাধারণত একসঙ্গে খেলান না স্কালোনি। তাদের নিয়মিত একসঙ্গে নামালে রক্ষণ কে সামলাবে, ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নে মজা করে স্কালোনি বললেন, ‘‘ওদের দুই জনকে এক সঙ্গে খেলাতে চাইবে না কে? ওদের সঙ্গে লিও, আনহেল। আর রক্ষণ আমি সামলাব? দুই জনই শীর্ষ পর্যায়ের ফরোয়ার্ড। একজন গেলে আরেকজন আসে। আপনার কাছে কোনো সমাধান থাকলে আমাকে জানান!’’