দর্শক বিশৃঙ্খলার ম্যাচে মরক্কোর কাছে নাটকীয় হারে অলিম্পিক অভিযান শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বাতিল হয়েছিল তাদের একটি গোল। আজ আর কোনও নাটকীয়তা নয়। ইরাককে ৩-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’তে এখন শীর্ষে আর্জেন্টিনা। দুই বারের অলিম্পিক স্বর্ণজয়ীদের হয়ে একটি করে গোল থিয়াগো আলমাদা, লুসিয়ানো গুনদো ও ইগনাসিও ফার্নান্দেজের।
গ্রুপের অপর ম্যাচে ইনজুরি টাইমের অষ্টম মিনিটের গোলে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউক্রেন। তাই শীর্ষে থেকেও স্বস্তিতে নেই আর্জেন্টিনা। চার দলের পয়েন্টই সমান ৩। শুধু + ১ গোল ব্যবধানে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ইউক্রেন ও মরক্কোর গোল ব্যবধান সমান ০। আর ইরকারে গোল ব্যবধান -১।
এদিকে মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে নিয়মের বরখেলাপের অভিযোগে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে নালিশ করেছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ইরাকের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেয় ফিফা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু আর ভিএআরে গোল বাতিলের পর আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেছিলেন, ‘‘ আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস।’’ ফিফার কাছে সেটা অবশ্য সার্কাস মনে হল না।
আর্জেন্টিনা ৩ : ১ ইরাক
ইউক্রেন ২ : ১ মরক্কো
ডমিনিকান রিপাবলিক ১ : ৩ স্পেন
উজবেকিস্তান ০ : ১ মিশর
এই গ্রুপ থেকে চার দলেরই সুযোগ আছে কোয়ার্টার ফাইনালের আবার চার দলেরই শঙ্কা আছে বাড় পড়ার! ৩০ জুলাই শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ইউক্রেনের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। অপর ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে খেলবে মরক্কো।
লিওঁ স্টেডিয়ামে ১৪তম মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজের পাস থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন থিয়াগো আলমাদা। বিরতির ঠিক আগে ইরাকের হয়ে সমতা ফেরান আইমান হোসেন।
বিরতির পর তিনটি বদলিতে বদলে যায় আর্জেন্টিনা। ৬২ মিনিটে কেভিন জেননের ক্রস থেকে হেডে বল জালে জড়ান গুনদো। গোলের মিনিট দেড়েক আগে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তারা।
৮৫ মিনিটে অপর গোলটি করেন আরেক বদলী খেলোয়াড় ইগনাসিও ফার্নান্দেজ। জেননের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে পোস্টের বাঁ দিকের কোন দিয়ে লক্ষ্যে পাঠান তিনি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে গ্রিসের বিপক্ষে এমন এক গোলই করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
গ্রুপ ‘সি’তে ডমিনিকান রিপাবলিককে ৩-১ গোলে হারিয়ে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইউরো জয়ী স্পেন। অপর ম্যাচে মিশর ১-০ গোলে হারিয়েছে উজবেকিস্তানকে।