অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন আর্লিং হলান্ড। সেটাই স্বাভাবিক। নরওয়ের হয়ে যে গোলের ইতিহাস গড়েছেন তিনি। উয়েফা নেশনস লিগে স্লোভেনিয়াকে ৩–০ গোলে হারিয়েছে নরওয়ে। এর দুটি গোল আর্লিং হলান্ডের, অপরটি আলেক্সান্দার সোরলথের।
নরওয়ের হয়ে হলান্ডের গোল এখন সর্বোচ্চ ৩৪টি। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ১৯২৮ থেকে ১৯৩৭ সালে ৪৫ ম্যাচে ৩৩ গোল করে এতদিন শীর্ষে থাকা ইয়োর্গেন ইউভেককে। ৩৬ ম্যাচেই তার রেকর্ড ভাঙলেন হলান্ড।
ম্যাচ শেষে জার্সির ভেতরে বল লুকিয়ে পেটের সামনে রেখে মুখে বুড়ো আঙুল চুষার থা ছবি পোস্ট করেছেন হলান্ড। ক্যাপশনে একটি শিশুমুখ আর দ্রুত আসছে লেখা ইমোজি। তার প্রেমিকা ইসাবেল হগসেং ইয়োহানসেন যে অন্তঃসত্ত্বা, সেটাই বুঝিয়েছেন বাবা হতে চলা হলান্ড।
হলান্ডের এমন পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন সতীর্থরা। অভিনন্দন জানিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিও। এরপর থেকেই খোঁজ চলছে, কে এই ইসাবেলা। আসলে দুজনই ছিলেন ফুটবলার। তাদের পরিচয় নরওয়ের স্থানীয় ক্লাব ব্রায়ানে। ১২ হাজার মানুষের ছোট্ট এই শহরেই জন্ম ইসাবেলার। দুজনই বেড়ে উঠেছেন এখানে। ইসাবেলা খেলতেন ক্লাবের নারী দলে।
ব্রায়ানের একাডেমিতে দুজন একসঙ্গে ছিলেন ১০ বছর। এরপর মলদো হয়ে হলান্ড যোগ দেন সালজবুর্গে। তিনি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড হয়ে এখন খেলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। তবে ২০ বছরের ইসাবেলা খেলেন ক্লাব বদলাননি, পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল খেলেছেন সেখানেই। কাজ করেছেন একটি ফ্যাশন হাউজেও।
নরওয়ে ছাড়লেও শৈশবের প্রেমিকা ইসাবেলা ছাড়া কাউকে হৃদয়ে জায়গা দেননি হলান্ড। ইসাবেলাও প্রেমিকের খেলা দেখতে কখনও ছুটে গেছেন জার্মানি তো কখনও ইংল্যান্ডে। ‘দ্যা সান’ জানিয়েছে দুজনের প্রেমের শুরুটা হলান্ড ডর্টমুন্ডে যোগ দেওয়ার পর থেকে।
নরওয়ে বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ায় চুটিয়ে ছুটি উপভোগ করেছিরেন দুজন। এরপর থেকেই একসঙ্গে থাকেন তারা। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা ছবি খুব বেশি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন না দুজনের কেউ। তারপরও, বাবা হওয়ার সুখবরটা সবাইকে জানিয়ে রাখলেন হলান্ড।