লুটন টাউনের মাঠে গোল উৎসবেই মাতলেন আর্লিং হলান্ড। একাই বল জালে পাঠালেন ৫ বার। তাও পোস্টে কেবল ৭ শট নিয়ে। আলো ছড়ালেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকার অ্যাসিস্ট ৪টি। হলান্ড-ব্রুইনা জুটিতে স্রেফ উড়ে গেছে লুটন। এফএ কাপ পঞ্চম রাউন্ডের এই ম্যাচে পেপ গার্দিওলার দল জিতেছে ৬-২ গোলে।
দেড় মৌসুমের ব্যবধানে ম্যানসিটির জার্সিতে দ্বিতীয়বার ৫ গোল করলেন হলান্ড। গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপজিগের বিপক্ষেও বল জালে জড়িয়েছিলেন ৫ বার। ম্যানসিটির আর কোনও খেলোয়াড় পারেননি দুই ম্যাচে ৫ গোল করতে। তাই রেকর্ডের একটা পাতা নতুন করেই খুললেন হলান্ড।
১৯৭০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি জর্জ বেস্টের ৬ গোলের পর শীর্ষ লিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এফএ কাপে এক ম্যাচে ৫ গোল করলেন হলান্ড। প্রথম ৪০ মিনিটেই করেন হ্যাটট্রিক। ৫৫ ও ৫৮ মিনিটে করেন আরও ২ গোল।
হলান্ডের প্রথম চার গোলের উৎস ছিলেন ডি ব্রুইনা। চোট কাটিয়ে ফিরে ব্রুইনা নিজের সেরা ছন্দে ফেরায় হলান্ড দিয়ে রাখলেন হুমকি, ‘‘নিজের সেরা ফর্মে ফিরতে শুরু করেছি আমি। সামনে দারুণ সময় অপেক্ষা করছে। আমরা আক্রমণের জন্য তৈরি। ব্রুইনার সঙ্গে খেলা সব সময়ই আনন্দের। আমরা জানি, কি চাই একে অপরের কাছে।’’
দলের সেরা দুই তারকা নিয়ে কোচ পেপ গার্দিওলা জানালেন, ‘‘‘আগুনে ফর্মে আর্লিং। আর ডি ব্রুইনা নিখুঁত। হলান্ডের দরকার ডি ব্রুইনার মতো খেলোয়াড়, ডি ব্রুইনার দরকার হলান্ডের মতো কাউকে-ওদের রসায়নটা এরকমই।’’
চোট কাটিয়ে ফিরে ১২ ম্যাচে ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট ১১টি, যা ম্যানসিটির হয়ে সর্বোচ্চ। ফিল ফোডেন ও ইউলিয়ান আলভারেজের অ্যাসিস্ট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০টি করে। দুজনই খেলেছেন ৩০টির বেশি ম্যাচ।
এফএ কাপে সিটির হয়ে ম্যাচে ৫ গোল করেছেন ১৯২৬ সালে ফ্র্যাঙ্ক রবার্টস আর ১৯৩০ সালে বব মার্শাল। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ গোলের রেকর্ডটা অবশ্য বোর্নমাউথের টেড ম্যাকডুগালের। ১৯৭১ সালে মারগেটের বিপক্ষে বোর্নমাউথের ১১-০ গোলের জয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।