তিন সপ্তাহজুড়ে চলা সংঘাত-সহিংসতায় কয়েকশ মানুষ নিহত হওয়ার পর অচলাবস্থা চলার মধ্যে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ নিয়ে আসছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান।
সোমবার দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে একথা জানানো হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রথমে জানিয়েছিল, দুপুর ২টায় এই ভাষণ হবে। পরে জানানো হয় যে ৩টায় এই ভাষণ প্রচারিত হবে।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার পরদিনই ভাষণ নিয়ে আসছেন সেনাপ্রধান। তবে তিনি কী বার্তা নিয়ে আসছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সেনাপ্রধানের বক্তব্য আসার কিছুক্ষণ আগেই মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়াসহ অবসরপ্রাপ্ত একদল সেনা কর্মকর্তা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানো অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তারা বলেন, তারা আগের দিন সেনাসদস্যদের ছাউনীতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালেও এখন মত পরিবর্তন করেছেন।
তারা মনে করেন, জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীকে এখন মাঠে থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সমর্থন করার কথাও জানান তারা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গত ১৫ জুলাই সহিংসতায় গড়িয়ে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর গত ১৮ জুলাই কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে সরকার। তারপর থেকে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছে।
রবিবার ব্যাপক সহিংসতার পর সরকার কঠোর হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সোমবার সকালে ঢাকার মোড়ে মোড়ে ব্যাপক পুলিশের অবস্থান ছিল। বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের তল্লাশিও করছিল।
তবে দুপুর থেকে সেসব স্থানে পুলিশ আর দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ থানায় অবস্থান নিয়ে আছে।
শাহবাগে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী রয়েছে। পুলিশ শাহবাগ থানার ভেতরে রয়েছে।