সিলেটের সুরমা নদীতীরবর্তী বরইকান্দি এলাকায় অবস্থিত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি বন্যার পানি থেকে রক্ষায় কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বালুর বস্তা ফেলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে কাজ শুরু করেন।
সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখতে পান যে বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। তখন প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে সিলেট ক্যান্টনমেন্টের এরিয়া কমান্ডারের সহযোগিতা চাইলে তিনি সেনাসদস্যদের উপকেন্দ্রে পাঠান। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার রাত থেকেই বরইকান্দি সাব স্টেশনকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে কাজ শুরু করেছেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র সরকার বলেন, “বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এখনো পানি ওঠেনি। তবে সুরমা তীরবর্তী হওয়ায় এটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বালুর বস্তা ফেলে প্রটেকশনের ব্যবস্থা করছেন। এতে আমরা স্বস্তি বোধ করছি।”
বরইকান্দি উপ-কেন্দ্রটি সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-৩ এর অধীনে। এই উপকেন্দ্র থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, বরইকান্দি, কামালবাজার, মাসুকগঞ্জ, বিসিক, লালাবাজার, শিববাড়ী ও কদমতলীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
২০২২ সালের জুন মাসের বন্যায় এই উপকেন্দ্রটিতে পানি উঠে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর কারণে বেশ কিছুদিন বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়েছিল কেন্দ্রটির আওতায় থাকা গ্রাহকদের।