আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশত্যাগে বাধ্য করার’ প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে।
এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর লোকজন অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
শনিবার বিকালে উপজেলার গোপিনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনায় সেনাসদস্য, সংবাদকর্মীসহ ১৫ জনের মতো আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশত্যাগে বাধ্য করার’ প্রতিবাদে শনিবার বিকালে গোপিনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।
তারা জানান, এক পর্যায়ে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সেনা সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে ক্ষুব্ধ লোকজন সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েকদিন ধরেই গোপালগঞ্জের কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে অশান্ত হয়ে উঠছে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি।
গোপালগঞ্জে কর্তব্যরত সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩/৪ হাজার জনতা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে জনতা উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করাসহ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় চার সেনা সদস্য আহত হয়েছে।