Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

শেখ হাসিনার সঙ্গে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের করা দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করে আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদেশে দুটি মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ নভেম্বর ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে আসামি আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ নেই। তিনি দেশেই আছেন নাকি দেশত্যাগ করেছেন, সে বিষয়েও কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে।

আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শুরু হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কোর্টের কার্যক্রম শুরু হলে চিফ প্রসিকিউটর মামলার আবেদন পড়ে শোনান।

এ সময় সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনী, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে গুম, খুন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার পরিসংখ্যান, অর্থ পাচারের পরিসংখ্যান এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে অবৈধভাবে বল প্রয়োগের তথ্য তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর।

তিনি আদালতে বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে গণহত্যার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিরা প্রভাবশালী। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে আসামি ও তাদের লোকজন বিভিন্ন পজিশনে আছে। তাই আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।”

এক পর্যায়ে আদালত জানতে চান, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামিদের অবস্থান জানেন কিনা। জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, না। এরপর আদালত আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে আদালতে আসামি হাজির করতে বলেন।

পরে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দুটি আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালত একটি আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে এই আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

“আরেকটি আবেদনে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।”

তবে অন্যদের নাম প্রকাশ করেননি তাজুল। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ হলে পালিয়ে যেতে পারেন।”

এর আগে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পক্ষ থেকে করা আবেদনে বলা হয়েছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার হিসাব উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তী বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত