চট্টগ্রাম শহরের রহমতগঞ্জের একটি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠান চলাকালে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। তবে এখনও তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
যে ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী যাত্রা মোহন সেন (জে এম সেন) হলে। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজেনে সেখানে চলছিল দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা।
সেই গানের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা। দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে কীভাবে আর কেন ‘ইসলামি বিপ্লবের’ গান পরিবেশিত হলো তা নিয়ে মুখর হন নেটিজেনদের একাংশ। স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যেও তৈরি হয় ক্ষোভ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জে এম সেন হল ঘিরে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাতেই জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম মণ্ডপটিতে যান এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
পরে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য মঞ্চে ওঠেন এবং ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ক্ষমাও চান তিনি। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন জানিয়েছেন, গত সন্ধ্যায় মঞ্চে নাচের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন তরুণ পরিষদের সদস্যদের কাছে আসেন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করার কথা বলে মঞ্চে ওঠেন। তারা এসময় দুটি গান পরিবেশন করেন, প্রথমটি ছিল ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’। পরেরটির শিরোনাম ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’।
গান পরিবেশন শেষে তারা মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান।
মূলত দ্বিতীয় গানটি নিয়েই শুরু হয় সমালোচনা।