ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫৮ দালালকে গ্রেপ্তার ও তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের দাবি, এই ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী পাঠানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ৬৫ জনকে আটক করে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল। পরে যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকি ৫৮ জনকে বিভিন্নভাবে সাজা দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
বিকালে ঢাকা মেডিকেলের হাসপাতালের বাগান গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান করেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা এবং বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে মাদকসেবীদের নিয়ে গিয়ে রক্ত নিয়ে বিক্রির তথ্য পেয়েছিলাম। এর ভিত্তিতে আমরা এখানে একমাস ধরে তাদের গতিবিধি এবং ভিডিওসহ তথ্য সংগ্রহ করেছি। যাদের গ্রেপ্তার করেছি তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।”
প্রথম দিনের অভিযানে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
এই অভিযান চলবে জানিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখান থেকে যেসব হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া হয়, সেসব হাসপাতালেও অভিযান চালানো হবে।”
ঢাকা মেডিকেল ঘিরে দালাল চক্রের বিশাল বড় সিন্ডিকেট রয়েছে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “এসব সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ যারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে। এখানে প্রায় দেড়শ থেকে ২০০ জনের মতো দালাল রয়েছে। এদের সাজা দিলে জেল খেটে আসার পর তারা আবারও সেই একই কাজই করবে।
“এটি একটি চলমান বিষয়, এটাকে এত সহজে নির্মূল করা সম্ভব নয়।”