বাংলাদেশ পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র-গুলিসহ দুজনকে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড ও পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মহেশখালীর মোস্ট ওয়ান্টেডখ্যাত ‘জিয়া বাহিনীর’ প্রধান জিয়া ও তার সহযোগী। এসময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের লুট হওয়া একটি পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন এবং ২২ রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সেখানে বলা হয়, গ্রেপ্তার জিয়াউর রহমান জিয়া (৪৪) মহেশখালীর কালারমারছরা মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকার বাসিন্দা। তার সহযোগী মো. মহিউদ্দিনকেও (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার বিস্তরিত পরিচয় জানা যায়নি।
জিয়ার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ অপহরণ, অস্ত্র এবং নানা অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তকি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকার একটি টিনের ঘরে কয়েকজন কুখ্যাত ও মোস্ট ওয়ান্টেড অস্ত্রধারী ডাকাত অবস্থান করছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সোয়া ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের দুটি দল ও বাংলাদেশ পুলিশের সমন্বয়ে ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়।
সেখান থেকে জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগী মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ হওয়া অস্ত্র ও গুলিসহ তাদের মহেশখালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
উদ্ধার পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র বিষয়ে জানতে চাইলে, মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “যৌথ অভিযানে জিয়া সহযোগীসহ গ্রেফতার হবার পর সবিশেষ জানতে তাদের নিয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম কার্যালয়ে গেছেন। মামলার এজাহারসহ থানায় জমা দিলে তখন বলা যাবে উদ্ধার পুলিশের অস্ত্রটি কখনকার লুট হওয়া।”