কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আবারও আধিপত্য বিস্তারের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক তরুণ নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে।
আরসা এবং আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিরোধের জের ধরেই এই গোলাগুলির ঘটনা, জানিয়েছে ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী এপিবিএন।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর এবং জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. আমির জাফর।
নিহত তরুণের নাম আব্দুর রহমান (১৯)। তিনি হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে।
আহতরা হল, একই ক্যাম্পের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩২), সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (৩৭), রশিদ উল্লাহর ছেলে মো. শাফায়েত ও দিল মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম এবং জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল মিয়ার স্ত্রী নেসারা (৫৫)।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও গুলিতে নিহতের ঘটনা নতুন নয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধের ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পে গোপনে কাজ করা সন্ত্রাসী দলগুলোর বিরোধেও সেখানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
আমির জাফর বলেন, বিকালে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসও সন্ত্রাসীরা হঠাৎ করেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুইপক্ষ ২০-২৫ টি গুলি ছোড়ে। এতে ৬ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, “পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামতলীর এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণার কথা জানান তিনি। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান আমির জাফর।