১৯৮৮ সিউল অলিম্পিকে শেষ বার পাকিস্তানের হয়ে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন বক্সার হুসেন শাহ। আর শেষ বার ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে পাকিস্তান সোনা জিতেছিল হকিতে। চার দশক পর আবার সোনা পেল পাকিস্তান। ভারতের নীরাজ চোপড়ার স্বপ্ন ভেঙে আরশাদ নাদিম জ্যাভেলিনে জিতলেন সোনা, তাও অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে। পাকিস্তানের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন তিনি।
৯২.৯৭ মিটার পেরিয়ে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়েন আরশাদ। আগের রেকর্ডটা ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে গড়েছিলেন নরওয়ের আন্দ্রেয়াস থরকিল্ডসেন, ৯০.৫৭ মিটার। গত অলিম্পিকে সোনাজয়ী নিরাজ চোপরা ৮৯.৪৫ মিটার ছুঁড়ে জিতেন রুপা। গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স ৮৮.৫৪ মিটার ছুঁড়ে জিতেন ব্রোঞ্জ।
অলিম্পিকের আগে ২৭ বছর বয়সী নাদিমের সেরা ছিল ৯০.১৮ মিটার। আর ৯০ মিটারের দূরত্ব কখনও পার করতে পারেনি নীরাজ। ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসে নাদিম জিতেছিলেন সোনা, তবে সেবার অংশ নেননি নীরাজ।
পাকিস্তানের নাদিমের সঙ্গে নীরাজের প্রতিযোগিতা অনেক আগে থেকে। এর আগে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস, টোকিও অলিম্পিক, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ— সবখানেই নাদিমকে পেছনে ফেলেছিলেন নীরাজ। তবে এবার অলিম্পিকে বাজিমাত নাদিমের।
আট ভাই-বোনের তৃতীয় নাদিম শৈশবে অ্যাথলেটিক্সের পাশাপাশি খেলতেন ক্রিকেট, ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন। প্রিয় খেলা ছিল ক্রিকেট। তবে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় পাকাপাকি ভাবে জ্যাভলিনকে বেছে নেন। সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল না, বোঝালেন অলিম্পিকে ইতিহাস গড়ে।
অথচ বেশ কয়েক বছরের পুরোনো নিজের জ্যাভেলিনটাও বদলানোর মতো অবস্থা ছিল না নাদিমের। পাকিস্তান সুপার লিগের মুলতান সুলতানস অলিম্পিকে নাদিমের পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় বদলান সেটা। তাতেই হয়তো টোকিওতে পঞ্চম হওয়া নাদিম সোনা উপহার দিলেন পাকিস্তানকে।
এদিকে মেয়েদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন সিডনি ম্যাকলাফলিন–লেভরোন। ৫০.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন তিনি। আগের ৫০.৬৫ সেকেন্ডের রেকর্ডটিও ছিল তার। ৫১.৮৭ সেকেন্ডে রুপা জিতেছেন আরেক মার্কিন অ্যাথলেট অ্যানা ককরেল। ৫২.১৫ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ নেদারল্যান্ডসের ফেমকে বোলের।
ছেলেদের হকিকে তৃতীয়বার সোনা জিতেছে নেদারল্যান্ডস। ফাইনালে জার্মানিকে টাইব্রেকারে ৩–১ গোলে হারায় তারা। নির্ধারিত সময়ে ১–১ গোলে ড্র ছিল ম্যাচটি। ১৯৯৬ ও ২০০০ সালের পর এটা তাদের তৃতীয় সোনা।