চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের পাপেট শিল্পকে নতুন মাত্রা দেওয়া এই শিল্পীকে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পর শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেরী মনোয়ার।
গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন ৮৯ বছর বয়সী একুশে পদক প্রাপ্ত এই শিল্পী।
চারুশিল্পী, নাট্য নির্দেশক ও শিল্প গবেষক মুস্তাফা মনোয়ার কবি গোলাম মোস্তফার ছেলে। ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার মাগুরা (বর্তমান মাগুরা জেলা) মহকুমার শ্রীপুর থানার অন্তর্গত নাকোল গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে বিজ্ঞানে ভর্তি হন। তবে সেখানে না পড়ে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৯ ফাইন আর্টসে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০০৪ সালে একুশে পদক পান মুস্তফা মনোয়ার। এছাড়া ১৯৯০ সালে টিভি নাটকের জন্য টেনাশিনাস পদক, ১৯৯২ সালে চারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে শিশু শিল্পকলা কেন্দ্র কিডস কালচারাল ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম কর্তৃক কিডস সম্মাননা পদক, ২০০২ সালে চিত্রশিল্প, নাট্য নির্দেশক এবং পাপেট নির্মাণে অবদানের জন্য শিশুকেন্দ্র থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
তার কর্মজীবনের শুরু পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে। পরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া জনবিভাগ উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৫ সালে মেরী মনোয়ারকে বিয়ে করেন এই শিল্পী। তাদের এক ছেলে সাদাত মনোয়ার ও এক মেয়ে নন্দিনী মনোয়ার।