সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিত্ত-বৈভব নিয়ে দুদকের অনুনন্ধানের মধ্যে আলোচনায় এখন মো. আসাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ; তবে সাবেক এই ডিএমপি কমিশনার দাবি করেছেন, তার সম্পদ নিয়ে অতিরঞ্জন হচ্ছে, যা নিয়ে তিনি বিচলিত নন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা আছাদুজ্জামান মিয়া বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যাকে বলেছেন, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরে সব সমালোচনার জবাব দেবেন।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের খবর আসার পর তার তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আদালত তার বেশ কিছু সম্পতি জব্দ করার আদেশও দিয়েছে।
বেনজীরের পরে ঢাকা মহানগর কমিশনারের দায়িত্বে এসেছিলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালনের পর জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ছিলেন তিনি।
অবসরে থাকা আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তবে দুদকের সে সময় অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল।
এখন বেনজীরকে নিয়ে তদন্তের মধ্যে আছাদুজ্জামান মিয়ার পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি ও জমিজমা থাকার তথ্য আসছে।
এবিষয়ে আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তিনি এখন সিঙ্গাপুর রয়েছেন। তবে দেশে ফিরছেন শিগগিরই।
“দেশে ফিরছি ২/৩ দিনের মধ্যে, তখন সব কথা বলা যাবে। অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে, মিথ্যা প্রচারণা চলছে।”
তার সব সম্পদ বৈধ আয়ে কেনা দাবি করে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমি বাবার একমাত্র সন্তান, সেখান থেকে বেশ কিছু সম্পদ পেয়েছি। পরিবারের অন্য সদস্যরাও বৈধ উপার্জনে অনেক কিছু করেছেন। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আয়কর বিবরণীতে স্বচ্ছভাবে সব দেওয়া আছে।”
সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, আছাদুজ্জামান মিয়ার পরিবার সদস্যদের নামে ১৬৬ শতক জমি আছে। ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তিনি নিজ নামে কিনেছেন ৬৭ শতক জমি। তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় আছে একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট। তার মেয়ের নামেও ঢাকায় ফ্ল্যাট আছে। ছোট ছেলের নামে আছে আরেকটি বাড়ি।
এসব সম্পত্তি নিয়ে তিনি দৈনিক সমকালকে দেওয়া এক ব্যাখ্যায় বলেন, ঢাকার আফতাবনগরে যে ২১ কাঠা জমির কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। তার মাত্র ৬ কাঠার মালিক তিনি। তার দুই ছেলের নামে আছে ১০ কাঠা জমি। বাকি ৫ কাঠার মালিক তার এক শ্যালিকা।
বসুন্ধরার জমিটি অদল-বদল করে পাওয়া দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে ওই এলাকায় এক বিঘার মতো জমি কেনা ছিল তার। তখন সেটি ডোবা ছিল। আবাসিক এলাকা হওয়ার পর ওই জমির বদলে ১০ কাঠার একটি প্লট দেওয়া হয় তাকে।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, তার েছলে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করছেন, মেয়ে চিকিৎসক। তার স্ত্রীর বুটিকের ব্যবসা রয়েছে। ফলে সম্পত্তি কেনার সামর্থ্য তাদেরও রয়েছে।