Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বাবা-মার খোঁজে ডেনমার্ক থেকে আসছেন আশা

সেকালের আশা আর একালের আশা
সেকালের আশা আর একালের আশা
[publishpress_authors_box]

জন্মের পরপরই আশার ঠাঁই হয়েছিল খুলনার সোনাডাঙ্গার এক অনাথ আশ্রমে। এর কয়েকদিন পরই তার জায়গা হয় ঢাকার আরেক এতিমখানায়। সেখান থেকে ১৯৭৬ সালে তাকে দত্তক নেয় ডেনমার্কের একটি পরিবার।

১৯৭৬ সালের ওই ঘটনার পর থেকে ডেনমার্কেই কাটছে আশার জীবন। মাঝে একবার বাংলাদেশে এসেও স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে ফিরে যান। সঙ্গী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এখন তার সংসার। কিন্তু জানেন না নিজের নামটা কে রেখেছিলেন সেকথাও। বছরের পর বছর এই কষ্ট চাপা দিয়ে রাখলেও এখন আর পারছেন না। তাই নিজের পরিবারের সন্ধানে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসতে চান আশা।

নিজের পরিবারের খোঁজে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশির সহায়তা চেয়েছেন আশা। তাদেরই একজন অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসেলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক শিক্ষক ড. আবুল হাসনাত মিল্টন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবুল হাসনাত মিল্টনের বাড়িও খুলনায়।

আশার ছোটবেলার পাসপোর্টের ছবি

সকাল সন্ধ্যাকে তিনি জানান, মেয়েটার জন্ম খুলনায়, সম্ভবত ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স প্রায় ৫০ বছর। কেউ একজন তার নাম রেখেছিলেন আশা। আশা লোকমুখে শুনেছে, ১৯৭৪ বা ৭৫ সালের মে মাসে তাকে সোনাডাঙ্গা মেইন রোডের ‘নির্মল হৃদয় শিশু ভবনে’ রেখে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকার ইসলামপুর রোডের আমপট্টি এলাকার এক এতিমখানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে আশাকে দত্তক নেয় ডেনমার্কের একটি পরিবার। তারপর ১৯৭৬ সালের ১৮ অক্টোবর ওই পরিবারের সঙ্গে ডেনমার্কে চলে যায়। সেই থেকে আশা ওয়েলস নামে ডেনমার্কেই বাস করছেন।

ড. আবুল হাসনাত মিল্টন বলেন, “আমি খুলনার ছেলে জেনে আমার এক সাবেক ছাত্রীর মাধ্যমে তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আশার সঙ্গী মোজেনস ফক আমাকে ইমেইল করেছেন। আশা মার্চ মাসে সঙ্গী-সন্তানসহ খুলনায় নিজের শেকড়ের সন্ধানে আসতে চান। দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন, কেউ কি আশার বাবা-মা, ভাই-বোন বা আত্মীয়স্বজনের কোনো খোঁজ দিতে পারবেন?”

২০০৪ সালের নভেম্বরে তিন বছর বয়সী ছেলে ও সদ্যোজাত মেয়ের সঙ্গে আশা।

আশার সঙ্গী মোজেনস ফক ইমেইলে ড. আবুল হাসনাত মিল্টনকে জানিয়েছেন, আশা সম্ভবত ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তাকে একটি ক্যাথলিক অনাথ আশ্রমে নেওয়া হয়েছিল। তারা তাকে ঢাকার একটি ক্যাথলিক এতিমখানায় পাঠায়। পরে ১৯৭৬ সালে ডেনমার্কে যান আশা।

আবুল হাসনাত মিল্টন সকাল সন্ধ্যাকে জানান, তারা এখন আশার পরিবারকে খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন। তার আগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছেন, যাতে ঠিকানা খুঁজে পেতে সহজ হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত