ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের জিরাবো এলাকায় বিক্ষোভরত শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম কাউসার হোসেন খাঁন (২৭)। তিনি একটি কারখানার পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সংঘর্ষের সময় আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের জেরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কমপক্ষে পাঁচটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, সোমবার বেলা ১২টার পর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মন্ডল গ্রুপের সামনে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়কে নেমে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে ৩০ জন শ্রমিক আহত ও একাধিক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়।
শ্রমিকরা জানান, সকালে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং চলছিল। এ সময় সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেন। পরে অন্য কারখানার শ্রমিক সেখানে জড়ো হতে থাকেন।
তবে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান জানান, কিছু বহিরাগত মন্ডল গ্রুপের ২ শ্রমিকের মৃত্যুর মিথ্যা গুজব তুলে কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। পরে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা সেখানে জড়ো হতে থাকে। এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
সংঘর্ষে নিহত কাউসার হোসেন খাঁন আশুলিয়ার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মধ্য রতনপুর এলাকায়।
ফয়জুর রহমান জানান, নিহত কাউসার হোসেন খাঁনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী তার সকল পাওনা অতি দ্রুত পরিশোধ করা হবে।
সংঘর্ষে আহত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১১ জন সদস্য বর্তমানে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিজিএমইএ।