Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

১২ ঘণ্টায় তিন খেলায় সোনা জেতা জয়িতা এখন ক্রিকেটের এশিয়া কাপে

গত বাংলাদেশ যুব গেমসে একই দিনে তিনটি আলাদা খেলায় তিনটি সোনা জিতেছিলেন জয়তিা। ছবি : সংগৃহীত
গত বাংলাদেশ যুব গেমসে একই দিনে তিনটি আলাদা খেলায় তিনটি সোনা জিতেছিলেন জয়তিা। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে একই দিনে তিন খেলায় তিনটি সোনা জিতে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন জুয়াইরিয়া ফেরদৌস জয়িতা। তাও ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে। এ বছরের মার্চে সকালে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে শটপুটে সোনা জিতে দুপুরে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের হয়ে জেতেন মেয়েদের হকির ফাইনাল। এরপর সন্ধ্যায় কাবাডি স্টেডিয়ামে খুলনার হয়ে জেতেন কাবাডির সোনা।

জেলা বা বিভাগের খেলায় নিজেকে আটকে রাখেননি ঝিনাইদহের মেয়ে জয়িতা। ২০১৯ সালে এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপ অনূর্ধ্ব–২১ এ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন জয়িতা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে জয়িতা ছিলেন মেয়েদের গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের ক্যাম্পে। তবে চূড়ান্ত দলে জায়গা হয়নি সেবার।

মালয়েশিয়ায় হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ দলের ফটোসেশনে জয়িতা (বাম থেকে দ্বিতীয় সারিতে দ্বিতীয়)। ছবি : বিসিবি

সেই হতাশাটা পেছনে ফেললেন জয়িতা। প্রথমবার মালয়েশিয়ায় হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। এটাই স্বপ্ন ছিল জয়িতার। অন্য খেলাগুলো খেলতেন শখে আর লক্ষ্য ছিল ক্রিকেটার হওয়ার।

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলে ডাক পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানালেন দুই কোচকে,‘‘ঝিনাইদহে আমি খেলেছি ফরহাদুর রেজা মুন্না আর ঢাকায় শাহীন স্যারের অধীনে। আমার এই পর্যন্ত আসার পেছনে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। দুজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

ঝিনাইদহে মেয়েদের কোনো ক্রিকেট দল নেই। স্থানীয় কোচ ফরহাদুর রেজা মুন্নার একাডেমিতে ছেলেদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন তিনি। ছেলেদের স্থানীয় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে গ্লাভস হাতে দাঁড়ান উইকেটের পেছনে। ব্যাটিং করেন মিডল অর্ডারে।

জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি আদর্শ জয়িতার। শেরপুরে নিগারও বেড়ে উঠেছেন ছেলেদের সঙ্গে খেলে। তাকে অনুপ্রেরণা মানার কারণ হিসেবে জয়িতার মা সুরাইয়া বেগম সকাল সন্ধ্যাকে জানালেন ‘‘শেরপুরের নিগার সুলতানা জ্যোতি ছেলেদের সঙ্গে খেলেছে, কারণ সেখানে মেয়েদের দল ছিল না। ঝিনাইদহেও মেয়েদের দল নেই। তাই ওকে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে পাঠিয়েছি। ওদের সঙ্গে খেলায় জয়িতার স্কিল অনেক বেড়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় সবাই খুশি আমরা।’’

জয়িতার মা সুরাইয়া বেগম ঝিনাইদহ ফজর আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক। দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে খুলনা বিভাগের মেয়েদের হকি দলের আটজন ছিলেন ফজর আলী স্কুলের। কাবাডির কোর্টে শুরুতে নামা সাতজনের চারজনও এই স্কুলের। জয়িতাও পড়াশোনা করেছেন একই স্কুল থেকে।

উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পাওয়া জয়িতা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার তার স্বপ্ন জাতীয় দলে খেলার। এজন্য খেলতে যাননি ওমানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকিতে। সব মনোযোগ রেখেছেন ক্রিকেটে। এরই সুফল পেলেন মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়ে। এবার লক্ষ্য মূল জাতীয় দলে নিজের আদর্শ নিগারের সঙ্গে খেলা। স্বপ্নটা পূরণ হবে তো জয়িতার?

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত