Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
অলিম্পিক বাছাই

অল্পের জন্য পারলেন না রবিউল

সরাসরি প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না রবিউলের। আজ ইন্দোনেশিয়ায়। ছবি: সংগৃহীত
সরাসরি প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না রবিউলের। আজ ইন্দোনেশিয়ায়। ছবি: সংগৃহীত
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এত কাছে তবু এত দূরে! শুটিং রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে নিশ্চয় আফসোসে পুড়ছেন রবিউল ইসলাম। মাত্র ০.৩ পয়েন্টের জন্য রবিউলের প্যারিস অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না।

প্যারিস অলিম্পিকের কোটা প্লেস পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়া বাংলাদেশ দলের আসল লড়াইটা ছিল আজ বুধবার। জাকার্তায় আজ বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে এশিয়া অলিম্পিক বাছাই শুটিংয়ের দুটি ইভন্টে। এতে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে বাদ পড়লেন রবিউল।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ছেলে ও মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও ব্যর্থতার গল্প লিখেছিল বাংলাদেশ। বাছাই রাউন্ড পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে যেতে পারেননি কেউই।

অলিম্পিকের কোটা প্লেস পেতে হলে কমপক্ষে ফাইনাল রাউন্ডে উঠতেই হতো শুটারদের। কিন্তু ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে রবিউল করেন ৬২৮ পয়েন্ট। যেখানে সর্বশেষ প্রতিযোগি হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার ফাথুর গুস্তাফিয়ান নিশ্চিত করেন অলিম্পিকের কোটা। ফাথুর করেছেন ৬২৮.৩ পয়েন্ট। বাছাই পর্ব উতরে চূড়ান্ত পর্বে যেতে পারলে রবিউলের সামনে থাকতো পদক জয়েরও সুযোগ।

বাছাই পর্বে রবিউল প্রথম তিনটি সিরিজে যেভাবে স্কোর করছিলেন তাতে এক সময় মনে হচ্ছিল পেয়েও যেতে পারেন অলিম্পিক কোটা। প্রথম তিন সিরিজে তিনি যথাক্রমে করেছেন ১০৪, ১০৫.৬, ১০৫.৫। কিন্তু চতুর্থ সিরিজে আবারও ছন্দপতন রবিউলের। এবার করেন আগের চেয়ে কম স্কোর-১০৪.৩। অবশ্য পরের সিরিজেই আবারও প্রতিযোগিতায় ফেরেন ১০৫.৬ পয়েন্ট করে। কিন্তু যা সর্বনাশ হয়েছে একেবারে চূড়ান্ত ও শেষ সিরিজে। যে মুহূর্তে বেশি জ্বলে ওঠা প্রয়োজন ছিল, সেই মুহূর্তে তিনি চুপসে গেলেন। সব শেষ সিরিজে তিনি করেন ১০৩ পয়েন্ট।

জাকার্তা থেকে হতাশার সুরে দলের সহকারি কোচ গোলাম শফিউদ্দিন সকাল সন্ধ্যাকে বলছিলেন, “দুর্ভাগ্যই বলতে হবে আমাদের। তা না হলে কেন এত কাছাকাছি গিয়েও পারল না রবিউল। শুটিং শুরুর আগে আমরা প্রত্যেককে চাপ নিতে নিষেধ করেছিলাম। মাঝে এক সিরিজ বাজে খেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছিল সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না।”

এয়ার রাইফেলে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরাও। ছবি: সংগৃহীত

মূলত এশিয়া থেকে অলিম্পিক কোটা পাওয়ার শেষ টুর্নামেন্ট ছিল এবারের এশিয়ান অলিম্পিক বাছাই। শেষ টুর্নামেন্ট বলে এই আসরে সুযোগটাও বেশি ছিল বাংলাদেশের জন্য। কারণ এর মধ্যেই শক্তিশালী দলগুলো বিভিন্ন ইভেন্টে তাদের কোটা নিশ্চিত করে ফেলেছে। চীন ও ভারত ছেলে ও মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দুটি করে কোটা এরই মধ্যে পেয়ে গেছে।

যেসব দলের এরই মধ্যে কোটা নিশ্চিত হয়ে গেছে তারা পদক মঞ্চে উঠলেও কোটার সুযোগ থাকছে না। নিয়ম অনুসারে সুযোগ পেয়েছে তাদের পরে স্থানপাওয়া দেশ। সেই হিসেবে কাজটা তুলনামূলক সহজই ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু সহজ সুযোগও নিতে পারেননি বাংলাদেশের শুটাররা।

ছেলেদের ১০ মিটার রাইফেলে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া বাকি দুই শুটার জিদান হোসেন ও অর্ণব শারারও ভালো স্কোর করেননি। ৬২৫.৪ পয়েন্ট স্কোর করে ৫৫ জনের মধ্যে ২১তম হয়েছেন জিদান। আর ৬২৩.৩ স্কোর করে ৩২তম অর্ণব।

এই ইভেন্টে হতাশ করেছেন মেয়েরাও। শায়রা আরেফিন ৬২ জনের মধ্যে হয়েছেন ১৮তম। তিনি করেন ৬২৬.৮।  জাফিরা খানম ২৭তম। তিনি করেছেন ৬২৫.১। সবচেয়ে বাজে করেছেন  কামরুন্নাহার কলি। তার স্কোর ৬২৪। তিনি হয়েছেন ৩৪তম।  

এশিয়া থেকে অলিম্পিক কোটা পাওয়ার সুযোগ শেষ হলেও প্যারিসে যাওয়ার দরজা এখনও খোলা আছে বাংলাদেশের শুটারদের সামনে। আগামী এপ্রিলে ব্রাজিলে হবে শুটিং বিশ্বকাপ। যেখানে কোটার জন্য সারা বিশ্বের শুটারদের সঙ্গে লড়তে হবে বাংলাদেশকে। স্বাভাবিকভাবেই কাজটা বেশ কঠিন হবে রবিউল, অর্ণবদের জন্য।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত