সাকিব আল হাসানের দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলা নিয়ে সংশয় ছিল আগে থেকেই। হত্যা মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সাকিব এখন আইনের চোখে আসামি। তাই দেশে ফিরলে তার গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এ বিষয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়লেও সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারে ক্রীড়া উপদেষ্টা স্পষ্ট কিছু বলেননি। রবিবার বিসিবিতে বৈঠক শেষেও একই অবস্থানে আছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
কানপুর টেস্ট শেষে সাকিব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। ছাত্র আন্দোলনে মারা যাওয়া ছাত্র-জনতার ত্যাগের কথা স্মরণ করে নিজের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কেন রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তাও জানিয়েছেন। দেশের মাটিতে শেষ টেস্টে সকল ক্রীড়াপ্রেমীদের পাশে চেয়েছেন সাকিব।
সাকিব দেশে আসলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্ট খেলার পর দেশ ছাড়ার বিষয়ে কি হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থাকছে। আইন মন্ত্রনালয়কে সামনে এনে আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, “আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাাদেরও কথা হয়েছে। আসিফ নজরুল স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই আসলে যে মামলা হয়েছে হত্যা মামলা। ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে।”
তবে এমন উক্তি আগেও বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। সাকিব নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার পর বিসিবি বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ইস্যুতে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। আসিফ মাহমুদও রবিবার মিরপুরে এ ব্যাপারে কিছু জানাননি।
আগের মতোই বলেছেন, “দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা না। আমি যতটুকু জানি। আর আইনের বিষয়টা আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে পারবে। আমি বিশেষজ্ঞও না কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও না।”
তবে সাকিব ইস্যুতে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। মিরপুরে স্টেডিয়ামের বাইরের দেয়ালে কিছু সমর্থক সাকিব বিরোধী দেয়াল লিখন এঁকেছেন। এতে করে সাকিবের দেশে আসা এবং নির্বিঘ্নে খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ব্যাপারটি নজরে পড়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টারও। এ ব্যাপারে সমর্থকদের আবেগ নিয়ন্ত্রণের আহবান জানিয়েছেন তিনি, “একজন ক্রিকেটার তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, আসার ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা আমি দেখি না। তবে যেটা দেয়াল লিখনের কথা বলছেন বা সোশাল মিডিয়ায় কিছু দেখেছি, এটা তো আসলে আবেগের ব্যাপার। তাদেরও ওই অধিকার আছে যে কোন মুভমেন্ট করার। তবে এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে কারো নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে যেন না ফেলি।”