বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ রবিবার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস করেছেন তিনি।
এ সময় আসিফ মাহমুদ কথা বলেছেন বিসিবির সভাপতি নিয়ে। কারণ বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই আসছেন না বিসিবিতে। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে তাও নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে দাবি উঠেছে নাজমুল হাসানের জায়গায় নতুন সভাপতি নিয়োগের।
এ নিয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বললেন, ‘‘বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা ফেডারেশনকে কাজ করতে হলে তার সবগুলো অর্গানকে কাজ করতে হয়। কিন্তু বিসিবি আইসিসির অধীনে একটি ফেডারেশন। এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না, আমরা সাজেস্ট করেছি, যারা বিসিবির পরিচালক আছেন তারা আইসিসির লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে থেকে কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায় সেটি দেখবেন।’’
সরকার নতুন কাউকে নিয়োগ দিলে নিষেধাজ্ঞার কথা ভালোভাবেই জানা আছে আসিফ মাহমুদের। তাই এর সমাধানে বললেন, ‘‘সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’’
বাংলাদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে শঙ্কায় পড়েছে অক্টোবরে হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ নিয়ে আশাবাদী আসিফ মাহমুদ, ‘‘এরইমধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমি আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবো। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এই বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।’’
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নামও পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ, ‘‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গিয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সেই জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালেয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটি—বাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, যত দিন দরকার, তত দিনই থাকবেন। তবে ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো অভিলাষ নেই।