Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

মাহতাবকে আর নেবে না ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

আসিফ মাহতাব উৎস।
আসিফ মাহতাব উৎস।
[publishpress_authors_box]

সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায় আসা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করবে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।    

‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমকামিতার প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে যুক্ত’ বলে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলছে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়।  

সোমবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অফিস অব কমিউনিকেশন্স থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। সেখানে এটি ‘সাম্প্রতিক ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল বিবৃতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা-সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক ও পারস্পরিক মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য আচরণ। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এটাকে সমর্থন করে না।

সম্প্রতি মাহতাব বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়েছেন। পাবলিক ফোরামে অন্যদেরও একই কাজ করতে বলেছেন। ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে। এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।  

এজন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্প্রিং ২০২৪ সেমিস্টারের জন্য ২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে আসিফ মাহতাব উৎসর সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তার সময় এবং প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক প্রদান করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা-সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক ও পারস্পরিক মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য আচরণ। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এটাকে সমর্থন করে না। সম্প্রতি আসিফ মাহতাব উৎস বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়েছেন। পাবলিক ফোরামে অন্যদেরও একই কাজ করতে বলেছেন। ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে। এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব ক্ষেত্রে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের প্রচলিত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেইসঙ্গে ইউনিভার্সিটি প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার এবং সম্ভাবনা বিকাশের পথে সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন শরীফার গল্প : প্রশ্ন তদন্ত কমিটি নিয়েও

নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ শিরোনামের অধ্যায়ে যুক্ত হয়েছে ‘শরীফার গল্প’। যার উদ্দেশ্য পুরুষ ও নারীর পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানুষকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

এক বছর পর এই অধ্যায়টির বিরোধিতা করে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক খণ্ডকালীন শিক্ষকের বক্তব্য এবং তার বই ছেঁড়ার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

তা দেখে বিষয়টি ‘আরও গভীরভাবে’ পর্যালোচনা করে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্ক বোর্ডকে (এনসিটিবি) সহায়তা করার জন্য গত ২৪ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত