স্পিকারের পদ শূন্য থাকায় জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম একথা জানান।
তিনি বলেন, স্পিকারের আর্থিক এবং প্রশাসনিক কাজ ছিল। এখন যেহেতু স্পিকারের পদ শূন্য, সেই কাজটি কে করবে? সেই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সেটা দেখবেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, শিরীন শারমিন চৌধুরীর পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ আগস্টের পর থেকেই শিরীন শারমিন চৌধুরী আর তার দপ্তরে আসেননি। শিরীন শারমিনের পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর স্পিকারের পদটি শূন্য হয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পরিচালনার জন্য আইন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সংবিধানের ৭৪ (১) অনুচ্ছেদে নতুন স্পিকার নিয়োগের বিধান আছে। সেখানে বলা আছে, স্পিকার/ডেপুটি স্পিকার পদের যে কোনোটি শূন্য হলে সাত দিনের মধ্যে কিংবা ওই সময়ে সংসদ বৈঠকরত না থাকলে পরবর্তী প্রথম বৈঠকে তাহা পূর্ণ করার জন্য সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচিত করতে হবে।
তবে এখন যেহেতু সংসদই নেই, ফলে সাতদিনের বাধ্যবাধকতা এখানে প্রযোজ্য হয়নি না। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সংসদ বসলে তখনই নতুন স্পিকার নির্বাচনের সুযোগ আসবে।
সরকার পতনের পর অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিদের মতো ৫ আগস্ট থেকে খোঁজ মেলেনি স্পিকারেরও। কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, সেদিন শিরীন শারমিন সংসদ ভবনেই ছিলেন। জনতা সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ার পর তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তৈরি পোশাকখাতের শ্রমিকরা যে আন্দোলন করছে, সেটাকে সরকার কোনও ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে না। গণঅভ্যুত্থানের পরে অনেক কারখানার মালিক পালিয়ে গেছে, ফলে ওইসব কারখানা বেতন দিতে পারছে না। সেখানে আন্দোলন হচ্ছে।
এই মুহূর্তে তৈরি পোশাকখাতের ৯৯ শতাংশ কারখানা চালু আছে বলেও জানান তিনি।
বাসসের খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারের করা সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ ও দক্ষদের খুঁজে বের করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের কাজ শুরু হয়ে যাবে।