বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪ : ২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
(দুই লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ড এগিয়ে ৫ : ৪ ব্যবধানে)
অবিশ্বাস্য এক উত্থান-পতনের থ্রিল দেখল চ্যাম্পিয়নস লিগ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-আতলেতিকো মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যা হল, সেটা যেন রোমাঞ্চকর কোনও সিনেমা!
সিগনাল ইদুনা পার্ক-এ বিরতির আগে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে তখন জার্মান ক্লাবটি এগিয়ে ৩-২’এ। বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬৪ মিনিটেই ২-২ সমতা ফেরায় আতলেতিকো। দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়েও যায় ৪-৩ ব্যবধানে।
কিন্তু জার্মানরা তো হারার আগে হারে না। আক্রমণের ঝড় তুলে পরের ১০ মিনিটে ৪-২’এ এগিয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জিতে নিশ্চিত করে সেমিফাইনালের টিকিট। দুই লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ড এগিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে।
দুই দলই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলেনি দীর্ঘদিন। আতলেতিকো মাদ্রিদ সবশেষ শেষ চারে খেলেছিল ২০১৭ সালে আর বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ২০১৩-তে। জার্মান বুন্দেসলিগায় ৫ নম্বরে চলে যাওয়া সেই ডর্টমুন্ড ১১ বছর পর পেল সেমিফাইনালের টিকিট।
ডর্টমুন্ডের ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড ইয়োলো আর্মি’ খ্যাত সমর্থকদের এই উদযাপন সব বাঁধ ভেঙে ফেলার কথা। জার্মানির সবচেয়ে আবেগপ্রবণ সমর্থক হিসেবে পরিচিতি তো আর এমনি হয়নি তাদের।
ঐতিহ্যবাহী মেরুন-সাদা নয় আললেতিকো মাদ্রিদ নেমেছিল অ্যাওয়ে নীল সাদা জার্সিতে। এই জার্সি বদলের মত খেলাও বদলে গিয়েছিল তাদের। রক্ষণে ফাটল বের হয়ে আসছিল প্রায়ই। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ম্যাটস হামলেসেরে পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শটে লক্ষ্যভেদ করেন জুলিয়ান ব্র্যান্ডট।
৩৯ মিনিটে ইয়ান মাতসেনের গোলে ২-০’তে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। গুটিয়ে থাকা আতলেতিকো বিরতির আগে লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছিল একটিই, সেখানে ডর্টমুন্ডের ১১ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে।
বিরতির পর ডিয়েগো সিমিওনি দলে বদল আনেন তিনটি। নামান পাবলো বারিওস, আনহেল কোররেয়া ও রোদ্রিগো রিকেলমে। তাতে গতি আসে খেলায়। তারা গোলও পেয়ে যায় ৪৯ মিনিটে। মারিও হারমোসোর কর্নার বিপদমুক্ত করতে যেয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন ম্যাটস হামলেস।
৬৪ মিনিটে আনহেল কোররেয়ার গোলে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। সে সময় তারা দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে। কিন্তু ৭১ থেকে ৭৪-এই সময়ে আরও দুই গোল আদায় করে নেয় ডর্টমুন্ড।
৭১ মিনিটে নিকলাস ফুলক্রুগ আর ৭৪ মিনিটে গোল করেন মার্সেল সাবিৎজার। এরপর আর গোল হয়নি। আর গোলের দরকারও ছিল না ডর্টমুন্ডের।