ঢাকার ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার পর কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা ম্যাস ট্রান্সজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
ডিএমটিসিএল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছে, ফার্মগেট থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল স্লোগান দিতে দিতে খামারবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। আগে থেকে খামারবাড়িতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের জমায়েত ছিল। আন্দোলনকারীদের দেখতে পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়।
ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন ছাত্রলীগকর্মীরা স্টেশনের ভেতরে লাঠি দিয়ে আন্দোলনকারীদের পেটাতে থাকে। এসময় তারা পেইড জোনে গিয়ে তাদের পেটাতে থাকে। তখন মেট্রোরেল পুলিশ সদস্যরা স্টেশন থেকে ছাত্রলীগকর্মীদের সরিয়ে দেন। পরে স্টেশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। হামলার জেরে ট্রেন চলাচল কমিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুরো স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, ফার্মগেট স্টেশনের ভেতরে হামলার ঘটনা ঘটেনি। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় দুই দল স্টেশনের ঢুকে পড়েছিল। আর এতে স্টেশনের কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। ট্রেন শিডিউলেও বিঘ্ন ঘটেনি।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ফার্মগেট স্টেশনের বাইরে একদল আরেক দলকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দিচ্ছিল। তখন একদলের পেছনে আরেকটি দল ঢুকে পড়ে। স্টেশনের ভেতরে সংঘর্ষ হয়নি।
“আমরা নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছি। বাইরে গেট বন্ধ রাখা হয়। তবে যাত্রীরা যেন বেরিয়ে যেতে পারেন সে ব্যবস্থাও রাখা হয়। পরে যাত্রীদের স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”