যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা দেশটির রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়কে ফিরিয়ে আনল। এই ঘটনা আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ের মধ্যে ইতোমধ্যে গভীরভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া একটি জাতিকে প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন গ্রহণের কয়েকদিন আগে শনিবার নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পকে গুলি করা হয়। ফলে এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং প্রতিটি নাগরিকের নিজেদের নেতা নির্বাচনের অধিকারের ওপরও আক্রমণ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি জাতির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কয়েক দশক ধরে নির্মিত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভ্রম নাটকীয়ভাবে ভেঙে পড়েছে।
১৯৮১ সালে রোনাল্ড রেগানকে গুলি করার পর গত চার দশকে আর কোনও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এমন ভয়ানক হামলার ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি একটি নতুন, মারাত্মক মোড় নিতে চলেছে।
হামলায় আহত হওয়ার পর তাকে উদ্ধারের সময় ট্রাম্প যেভাবে ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ‘ফাইট, ফাইট’ বলছিলেন, তা তাৎক্ষণিকভাবেই একটি আইকনিক ছবি হয়ে উঠে। রৌদ্রোজ্জ্বল একটি বিকালকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করার অজানা রাজনৈতিক পরিণতি যাই হোক না কেন, এই ছবি একটি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক যুগকেই সংজ্ঞায়িত করবে।
শনিবারের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র এবং এর রাজনৈতিক বয়ানে কী প্রভাব ফেলবে, তা অনুমান করা কঠিন। এরই মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শীতল করা এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য দুপক্ষ থেকেই আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে পরস্পরকে দোষারোপ করাও শুরু হয়েছে, যা দেশটির সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বৈশিষ্ট্য। কিছু রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ এই হামলার দায় ডেমোক্র্যাটদের উপর চাপিয়েছেন। তাদের মতে, ডেমোক্রেটরা গণতন্ত্রের প্রতি ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে যেসব ভয়ানক বক্তব্য ব্যবহার করেছেন, তারই ফল এই হামলা।
এবিষয়ে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ওহাইয়োর সেনেটর জেডি ভ্যান্স সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “বাইডেন শিবিরের প্রচারের মূল প্রতিজ্ঞা হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী, যাকে যেকোনও মূল্যে থামাতে হবে। এই বাগাড়ম্বরই পরিস্থিতিকে সরাসরি সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যা প্রচেষ্টার দিকে পরিচালিত করেছে।”
ট্রাম্পের প্রচার ব্যবস্থাপক ক্রিস লাসিভিটা বলেছেন, “বামপন্থী কর্মী, ডেমোক্রেট দাতা এবং এমনকি জো বাইডেনকে নভেম্বরে ব্যালট বাক্সে ‘ঘৃণ্য মন্তব্যের’ জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”
তার মতেও ওসব মন্তব্যই পরিস্থিতিকে শনিবারের হামলার দিকে নিয়ে যায়।
ডেমোক্র্যাটরা আপত্তি করতে পারেন, তবে বামপন্থীদের অনেকেই ২০১১ সালে অ্যারিজোনায় কংগ্রেসও সদস্য গ্যাবি গিফোর্ডের ওপর মারাত্মক হামলার আগের মাসগুলোতে ডানপন্থীদের বয়ানের দোষ বর্ণনা করতে একই ভাষা ব্যবহার করেছিলেন।
ঐতিহাসিক ক্ষত
পপ, পপ, পপ গুলির শব্দ এবং একজন রাজনৈতিক নেতার মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টদের তাকে রক্ষার জন্য ঘিরে ধরার দৃশ্য একটি গুরুতর ঐতিহাসিক ক্ষতকে তাজা করে তুলেছে।
ট্রাম্প এখন প্রেসিডেন্ট পদে নেই , তবে এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ এবং যারা এই পদে দায়িত্ব পালন করেন বা করতে চান, তাদের ওপর সবসময় ঝুলে থাকা হুমকি দেখিয়ে দেয়।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম রাষ্ট্রপ্রধান। তার পূর্বসূরিদের মধ্যে চারজন প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীনই হামলায় নিহত হন। সর্বশেষ ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয়। আর সর্বশেষ ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা গত ৪০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের ওপর যে আস্থা তৈরি হয়েছিল, তাতেও চিড় ধরিয়েছে। গত চার দশকে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস এতটাই দক্ষ যে এই ধরনের হামলার সম্ভাবনা শূন্যে নেমে এসেছে। আরও বহু বছর তাদের এই দক্ষতা বজায় থাকবে।
ট্রাম্পের ওপর হামলাকে ১৯৬৮ সালে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডির হত্যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। কেনেডিকে হত্যার বছরটি ছিল একটি রক্তে ভেজা বছর। একই বছরে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে হত্যা করা হয়। শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনেও রক্ত ঝরেছিল। এবছরও একই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ডেমোক্র্যাটরা।
এখনকার মতো ১৯৬০-এর দশকেও যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। রবার্ট এফ কেনেডিকে হত্যার পাঁচ বছর আগে তার ভাই প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয়েছিল। মেডগার এভারস এবং ম্যালকম এক্স এর মতো নাগরিক অধিকার নেতারাও সেসময় রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন।
কেনেডিকে হত্যার পরও যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ হয়নি। ২০১১ সালে অ্যারিজোনার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডসকে এক অনুষ্ঠানে মাথায় গুলি করা হয়। ওই হামলায় ছয়জন নিহত হয় এবং গ্যাব্রিয়েল মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হারান।
২০১৭ সালে রিপাবলিকানদের প্রতিনিধিদের একটি বেসবল অনুশীলনে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। তৎকালীন পার্লামেন্টের হুইপ স্টিভ স্কালিসসহ আরও তিনজনকে গুলি করা হয়।
আমেরিকানরা এখনও ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে হামলাও হজম করতে পারেনি।
ট্রাম্পের ওপর হামলার এক প্রতক্ষ্যদর্শী জোসেফ মেইন সিএনএনকে বলেন, এই হামলা এমন একটি দেশের লক্ষণ, যাকে রাজনৈতিক ক্রোধ গ্রাস করেছে।
“সবাইকে খুব ক্ষিপ্ত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, দেশটা রাগী মানুষে ভরে গেছে। এমন ঘটনায় আমি হতবাক নই। তবে আমি হতবাক যে, আমি সেখানে বসে ছিলাম এবং এটি আমার পাশেই ঘটেছিল। এটা খুবই ভয়ঙ্কর।”
তিনি বলেন, “জেএফকে, আরএফকে, এমএলকে এরপর রোনাল্ড রেগানের জীবনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আর এখন ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। রাজনীতি এমন খেলা হওয়া উচিৎ নয়, যেখানে কাউকে সবকিছুই জিততে অথবা হারাতে হবে।”
তলাহীন নির্বাচনের আরেকটি নাটকীয় মোড়
শনিবারের বেদনাদায়ক ঘটনা অনিশ্চিত নির্বাচনী বছরে আরেকটি অস্থির রাজনৈতিক উপাদান যুক্ত করেছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার বিতর্কে বিপর্যয়কর পারফরম্যান্স করেছেন।
তার মাস খানেক আগে নিউ ইয়র্কের আদালতে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ট্রাম্প (৭৮) তার মনোনয়ন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। এবং তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় মেয়াদে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এত সব ভয়াবহতার মধ্যে একমাত্র স্বস্তি হচ্ছে, হামলার পরও প্রেসিডেন্ট পদের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী এখনও বেঁচে আছেন এবং সমাবেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অনুশীলন করার সময় নিহত ট্রাম্প সমর্থকের জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় শিবির থেকেই বেশিরভাগ নেতা এবং রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা দ্রুত ট্রাম্পের কাছে সমবেদনার বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে যে দুষ্ট মেরুকরণ ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই হত্যা প্রচেষ্টার প্রাথমিক ধাক্কা অনিবার্যভাবে গুরুতর রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে।
ট্রাম্পের সমর্থকরা ইতোমধ্যেইতাকে একজন অদম্য নায়ক হিসেবে দেখতে শুরু করেছিলেন এবং সমাবেশগুলোতে তাকে প্রায় অতিপ্রাকৃত শ্রদ্ধা-ভক্তি করা হত। প্রতিনিয়ত শত্রুদের আক্রমণের শিকার একজন যোদ্ধা হিসেবে তার ভাবমূর্তি এখন আরও গভীরভাবে তাদের মনে গেঁথে যাবে।
আহত হওয়ার পর আত্ম-অধিগ্রহণের মুহুর্তে ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে ‘লড়াই, লড়াই’ বলে একটি আইকনিক মুহূর্ত সৃষ্টি নিশ্চিত করেছিলেন। এসময় তিনি সরাসরি টিভি ক্যামেরাগুলোর দিকেও তাকিয়ে ছিলেন আর তার পেছনে উড়ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।
এই ছবি ইতিহাস হয়ে থাকবে এবং ট্রাম্পকে ঘিরে নতুন গল্প তৈরি করবে। আটলান্টা জেলে তোলা তার অদ্ভুত দর্শন ছবি বা ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংক্রমণকে পরাজিত করে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার ভিডিও ফুটেজ যেমনটি করেছিল।
রিপাবলিকান পার্টি ইতিমধ্যেই শক্তি এবং পৌরুষকে তাদের একটি কেন্দ্রীয় ধারণা করার পরিকল্পনা করছিল এবং শনিবারের ঘটনা তাদেরকে সে বিষয়ে নতুন উদ্যম দেবে।
এরিক ট্রাম্প তার বাবার মুষ্টিবদ্ধ একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “এমন যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন!”
চলমান নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। এমনকি গত ২৭ জুন সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিতর্কে বাইডেন ধরাশায়ী হওয়ারও আগে থেকেই। এই হামলার ঘটনায় সেই নির্বাচনী প্রচারণায়ও অপ্রত্যাশিত প্রভাব পড়তে পারে।
চলতি সপ্তাহে মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের চারপাশের পরিবেশও আরও তীব্র হবে। পেনসিলভেনিয়ায় সহিংসতা নিঃসন্দেহে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া রিপাবলিকান কনভেনশনের উপর দীর্ঘ ছায়া ফেলবে। নিরাপত্তা প্রটোকল কঠোর করা হবে এবং স্থানটির কাছাকাছি বিক্ষোভ এবং পাল্টা বিক্ষোভ হতে পারে। দলের মনোনীত প্রার্থী যখন বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চে উঠবেন, তখন তিনি দেশের পাদপ্রদীপের কেন্দ্রেই থাকবেন।
এদিকে, একজন বন্দুকধারী কীভাবে নিরাপত্তা রক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে ট্রাম্পের ওপর হামলা চালাতে সক্ষম হলো, তাও তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়টি কয়েক মাস ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে এবং ভবিষ্যতের সমস্ত প্রেসিডেন্ট সংক্রান্ত এবং প্রচারণা অনুষ্ঠানের ওপর প্রভাব ফেলবে।
উভয় শিবিরের অনেক রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক বক্তব্যে উত্তাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। সহজেই বন্দুক পাওয়া যায়, এমন একটি জাতিতে উত্তপ্ত রাজনৈতিক বক্তব্য কী তৈরি করতে পারে, এই হামলাকে তার একটি আতঙ্কজনক ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
তবে এখন দেখার বিষয়, শনিবারের এই ঘটনার ধাক্কা, যা আরও খারাপও হতে পারত, বিষাক্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দমন করতে কিছু করতে পারে কি না? ট্রাম্প নিজেও যে সংস্কৃতিতে একজন উৎসাহী অংশগ্রহণকারী।
সবচেয়ে মর্মস্পর্শী প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি ছিল গিফোর্ডসের একটি বিবৃতি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সহিংসতা ভয়ঙ্কর, তা আমি জানি।
“আমি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আজকের অবর্ণনীয় সহিংসতায় আক্রান্ত সকলকে আমার হৃদয়ে ধারণ করি। রাজনৈতিক সহিংসতা আমেরিকান সংস্কৃতি নয় এবং তা কখনোই গ্রহণযোগ্যও নয়, কখনোই নয়।”
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইতিহাস বলে যে, অসমর্থনীয় হলেও সহিংসতা আমেরিকান রাজনীতির একটি অমোচনীয় ক্ষত হয়েই রয়েছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি ও সিএনএন