দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মীর আশরাফ আলী আজমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ জোনের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোস্তফা কামালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরোবিয়া খানমের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন সাবেক এই কাউন্সিলর।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জহির রায়হান জসিম।
মামলার অপর আসামি হলেন ডিবির কোতোয়ালি জোনের সাবেক এডিসি ইয়াসির আরাফাত, লালবাগ জোনের পরিদর্শক শের আলম ও এসআই পলাশ চৌধুরী দীপন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট মশিউর রহমানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি থেকে বদলি করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিউ মার্কেট এলাকায় নিহত ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন মামলায় তাকে সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
আগস্টের শুরুতে ক্ষমতার পালাবদলের পর মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এটিসহ আটটি হত্যা মামলা হয়।
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ডিবি লালবাগ জোনের তৎকালীন ডিসি মশিউর ও এডিসি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাকি আসামিসহ ২০-২৫ জন তার বাড়ি ঘেরাও করে।
তারা বাড়ির দারোয়ানকে মারধর ও গেইটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। সাবেক কাউন্সিলরের স্ত্রী ও তাদের ছেলে ব্যারিস্টার মীর মুহতাসিমের সামনে তাকে তারা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাদী যেতে না চাইলে তাকে মারধর ও ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতে ফেলে দেওয়া হয়। সেসময় তার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়।
দীর্ঘ ছয় মাস চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও বাদী স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে অক্ষম হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর মীর আশরাফ আলী আজম বলেন, “এডিসি মোস্তফা কামাল আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। আমার কোমরের হাড় ভেঙ্গে ফেলে। বিএনপি করা আমার দোষ ছিল। আমি এর বিচার চাই।”